• লিড

    দিরাইয়ে মালিকের বাড়িতে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগ স্বজনের

      মো: বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ১১ জুন ২০২৫ , ৮:৩৪:৪০ অনলাইন সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিনিধি: মালিকের বাড়িতে এক গৃহকর্মী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, স্বজনের দাবি হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

    ঘটনাটি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া গ্রামে ঘটেছে।

    স্বজনদের দাবি মালিকের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নিহত যুবক’কে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

    নিহত যুবক একই জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার টাইলা গ্রামের আব্দুল কাহারের ছেলে গোলাম হাসান (২৩)।

    পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গোলাম হাসান দিরাই উপজেলার জারলিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তাফার বাড়ীতে চাকুরীর সুবাধে অবস্থান করতেন।

    এক পর্যায়ে গোলাম মোস্তফার পরিবারের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মায়ায় পরে আর মা-বাবার বাড়ীতে ফিরেনি গোলাম হাসান। 

     

    গোলাম মোস্তফার মেয়ের সাথে ছিল গোলাম হাসানের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। এরই জের ধরে ঝড়ে যায় গোলাম হাসানের প্রাণ। অনুসন্ধানে জানাযায়, গোলাম মোস্তফার মেয়ের  প্রেমে আশক্ত ছিল গোলাম হাসান।

    মেয়ের  মায়ার জ্বালে পড়ে গোলাম হাসান সব কিছু ছেড়ে অবস্থান নেন তাদের বাড়ীতে। প্রায় ছয় বছর যাবত বিনা বেতনে প্রেমের টানে তাদের পরিবারের হালও ধরেছিলেন গোলাম হাসান । কিন্তু এই প্রেম যে তার প্রাণ কেড়ে নিবে গোলাম হাসান কখনও হয়তো ভাবেনি ।

    গোলাম হাসানের রহস্যময় আত্মহত্যা নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।

    কেউ বলেছেন হত্যা আর কেউ বলেছেন আত্মহত্যা। এলাকার অনেকেইর ধারণা যে পরিকল্পিত ভাবে গোলাম হাসানকে হত্যা করা হয়েছে।

    আবার গোলাম মোস্তফার পরিবারের দাবী গোলাম হাসান আত্মহত্যা করেছেন। 

    টংগর গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী আব্দুল হামিদ জানান, আমার নাতি গোলাম হাসানকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার জীবনে অনেক আত্মহত্যার লাশ দেখেছি। গোলাম হাসানের লাশ দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে যে গোলাম হাসানকে মেরে ফেলা হয়েছে।

     

    আমি নিজ চোখে গলায় ওড়না প্যাচানো দেখে বুঝতে পেরেছি যে তাহাকে রাতের আধারে মেরে লোক দেখানোর জন্য ফাস লাগিয়ে এই নাটক করা হয়েছে।

     

    নিহত গোলাম হাসানের ভাই আব্দাল হোসেন জানান, আমার ভাই আত্মহত্যা করার মত লোক নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

     

    গোলাম মোস্তফার ভাতিজা ও তার মেয়ের জামাইয়ের সাথে ছিল আমার ভাইয়ের বিরোধ। তারা আমার ভাইকে অনেক বার লাঞ্চিতও করেছে। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি, গোলাম মুস্তফার মাদকাসক্ত মেয়ের জামাই ও ভাতিজা মিলে রাতের আধারে আমার ভাইকে মেরে সকালে ফাস লাগানোর নাটক সাজিয়েছেন।

    আমি আমার ভাইয়ের লাশ নিজ চোখে দেখেছি যে এটা ফাস নয় পরকল্পিত হত্যা।

    আমরা গরীব মানুষ আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। 

    এব্যাপারে দিরাই থানা’র ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লাশ উদ্বার করে  আমার ময়না তদন্তে পাটিয়েছি। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে  এটা  হত্যা না  আত্মহত্যা।

    উল্লেখ্য গত ৬-ই জুন রোজ শুক্রবার দুপুর ১২ টায় গোলাম হাসানের লাশ  জারলিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার বসত ঘর থেকে উদ্বার করে দিরাই থানা পুলিশ।

    আরও খবর

    Sponsered content