আল হেলাল, সুনামগঞ্জ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ , ১:৫৮:১০ অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিজ্ঞ আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির এডভোকেট বলেছেন,ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দিতে হবে বলে সরকারের কাছে মতামত দিয়েছি। এই ধরনের আইন কোনো সভ্য-ভদ্র সমাজে থাকতে পারে না। এটি লাউড এন্ড ক্লিয়ার।
মানুষের যদি কথা বলার অধিকার না থাকে, সংবিধান স্বীকৃত অধিকার না থাকে, তাহলে সাংবাদিকতার মানে থাকে না, বাক স্বাধীনতার মানে থাকে না এবং গণতন্ত্র ক্রিয়াশীল থাকে না। গণতন্ত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি যদি না থাকে, তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রাণ থাকে না।
এটি তদন্তে সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ আছেন,যাদের তদন্ত নিয়ে ভালো এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভালো কিছু বের হয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, যেহেতু ১২ বছর হয়ে গেছে কিছু আলামত ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু আলামতের ক্লু পাওয়া গেছে। কিন্তু অরিজিনালটা পাওয়া যাচ্ছে না।
দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে এগুলোকে কেউ কেউ ধ্বংস করে ফেলেছেন। রহস্য উদঘাটন কিছুটা পসিবল মনে হচ্ছে, বাকিটা বলতে পারছি না। কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে সুনামগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় শিশির মোহাম্মদ মনির এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ খান,নায়েবে আমীর এডভোকেট মোহাম্মদ শামস উদ্দিন,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক রওনক আহমদ বখত,রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীর,সাবেক সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) প্রতিনিধি আল হেলাল,মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব,সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক সেলিম আহমদ তালুকদার, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি মহসিন রেজা মানিক, আজকালের খবর প্রতিনিধি মুহাম্মদ আমিনুল হক, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি কুদরত পাশা,বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মাছুম হেলাল, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র মিঠু, রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমরানুল হক,সাংবাদিক সোহেল আলম ও আরটিভির প্রতিনিধি শহীদনুর আহমদ প্রমুখ। পরে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন হলে সুনামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সাথে অপর একটি মত বিনিময় সভায়ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিশির মোহাম্মদ মনির। এ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক এন.ডি. উছমান গনি,সদস্য এয়াকুব আলী,ইমনদোজ্জা আহমদ,সায়মন মিয়া, নাঈম, নিহাল, বায়েজিদ, রুহুল, সাব্বির, রাহি, শবনম, মোমেনা ও তন্নিসহ জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা,আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ২ নির্বাচনী এলাকা দিরাই-শাল্লা আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনিরকে সমর্থন করে বলেন,সাবেক স্পীকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছে।
তাই আগামী দিনের কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং রাজনীতির মোকাবেলায় একমাত্র যোগ্য প্রার্থী শিশির মোহাম্মদ মনিরের নেতৃত্বে আমরা সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে চাই। সভায় শিশির মোহাম্মদ মনির এডভোকেট বলেন,দিরাই-শাল্লা উপজেলায় ৩৬টি পূজামন্ডপে ঘুরে আমি সকল দলমতের মানুষের মনের কথা বুঝতে পেরেছি। সবাই চান সকল দলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন ও ব্যালট ভোটের স্বাধীনতা। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে বিগত দিনের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণরায় প্রদানে ভোটাররা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,বিগত দিনে যে ইলেকশনগুলো হয়েছে সেগুলোকে ইলেকশন বলা যায়না। ডায়রেক্ট ইলেকশনের মধ্যে দিয়ে কেউ নির্বাচিত হয়নি। অতীতে গণতন্ত্রের নামে যা ছিল তা হচ্ছে সরাসরি ডিক্টেটরশীপ। এখন রাজনীতির একটা সুস্থ সময় ও পরিবেশ এসেছে। অন্তবর্তীকালিন সরকারের উচিত,সকল দলের উচিত মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসী সিস্টেম চালু করা।