আমীর হামযা ৩০ অক্টোবর ২০২৪ , ১১:১০:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
এ দেশের সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক; এটি আমাদের সমাজের নিছক কোনো ধারণা নয়, এটিই বাস্তবতা।
অথচ আমাদের আশপাশের মানে- দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে জাতিবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোনো দলকে সংখ্যালঘুরা পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিষয়টি কৌতূহলোদ্দীপক। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সংখ্যালঘুদের প্রথম পছন্দ বাম মতাদর্শের রাজনৈতিক দল। এর একটি সরল ব্যাখ্যা এই হতে পারে যে, আর্থসামাজিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় বামধারার রাজনীতি নিজেদের জন্য নিরাপদ মনে করেন তারা। তাতে লাভ হলো, সহজে ধর্মান্ধতার অপবাদ থেকে মুক্তি মেলে। আবার নিজেকে প্রগতিশীল হিসেবে তুলে ধরা যায়।
বাংলাদেশে আওয়ামী জমানায় ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়েও এ দেশের বেশির ভাগ হিন্দু ওই দলকে কেন সমর্থন করে? তাদের মধ্যে আওয়ামীপ্রীতি অতিমাত্রায় বিদ্যমান কেন? কেন নির্যাতিত হয়েও আওয়ামী লীগকে হিন্দুরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে?
এই একগুচ্ছ প্রশ্নের মনস্তাত্তি¡ক এবং ঐতিহাসিক কারণ খুঁজতে আজকের এই লেখা।
সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীনের আধিপত্য রুখতে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে নতুন মিত্র হিসেবে ভারতকে বেছে নেয়। এ প্রেক্ষিতে ভ‚-রাজনীতির বিবেচনায় ওয়াশিংটনের পক্ষে বাংলাদেশকে দেখাশোনার দায়িত্ব পায় দিল্লি। দিল্লি এ সুযোগে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর দাদাগিরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের পরম চাওয়া বাস্তবায়নে ভারত-মার্কিন প্রযোজনায় বাংলাদেশে ১/১১-এর ঘটনা ঘটে। পরিণতিতে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে মহাপরাক্রমশালী ছিলেন মাফিয়া হাসিনা। তার ক্ষমতা টিকে ছিল গুম, খুন, দুর্নীতি ও ভিন্নমত দমনের ওপর ভিত্তি করে। যদিও একসময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন শেখ হাসিনা, তবু স্বৈরাচারী ও গণতন্ত্র হত্যাকারীরূপে আবির্ভূত হন। এ কথা সত্যি যে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও চরম দাম্ভিকতা হাসিনার করুণ পরিণতির জন্য দায়ী। এটি হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মো: ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
কিন্তু লক্ষণীয় হচ্ছে, এখনো এ দেশের হিন্দুরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের প্রতি সহানভূতিশীল।
কট্টর সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও মুজিব-হাসিনা জমানায় বিশেষ করে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে হিন্দুদের হালহকিকত কেমন ছিল তা জানা দরকার। কেনই বা এ দেশে হিন্দুরা আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা করে এর কারণ জানা প্রয়োজন। কী কারণে সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, এর সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কী। তা জানা গেলে সংখ্যালঘুদের চাওয়া-পাওয়া পূরণে তাদের সাথে বোঝাপড়া করা আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের পক্ষে সহজ হবে। একটি কার্যকর সম্পর্কে উপনীত হওয়া যেতে পারে।
প্রথমে নজর দিই, আওয়ামী লীগ ক্ষতায় থাকলে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো অংশটি লাভবান হয়। মানে, সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলে সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নেয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুজিব আমলে ১৯৭২-৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত হিন্দুদের অভিজাত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীটি ক্ষমতার উত্তাপে নিজেদের সুবিধা ষোলোআনা আদায়ে কোনো কসুর করেনি। ক্ষমতাবলয়ে অবস্থান করা হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশটির সাথে আওয়ামী লীগের বোঝাপড়া অত্যন্ত চমৎকার। অবশ্য এখানে আওয়ামী লীগের বাঙালি জাতীয়তাবাদ অনুঘটক হিসেবে চমৎকার কাজ করেছে। প্রকৃত বাস্তবতায় সত্য হলো- বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঊনবিংশ শতকে ইংরেজ কোলাবরেটর উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের মস্তিষ্কপ্রসূত বেঙ্গল রেনেসাঁজাত। এ কথা বলা যায়, ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ আসলে প্যাগান কালচারের রাজনৈতিক ভার্সন। পৌত্তলিকতা যেখানে সারকথা। তাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্মার আত্মীয়।
আওয়ামী লীগ ও বাঙালি হিন্দু একে অপরের হরিহর আত্মা। এ ছাড়া একাত্তরে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত করে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়। উপমহাদেশে মুসলিম শক্তি দুর্বল হওয়ায় হিন্দু জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের প্রতি কৃতজ্ঞ। এসব কারণে হিন্দুদের আস্থা ও ভরসা আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগও সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘একক ত্রাণকর্তা’ ও ‘অন্তরঙ্গ মিত্র’ বলে দাবি করে। এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার তাগিদে আওয়ামী রাজনীতির সারথি। তাই দলটির সাথে গাঁটছড়া বাঁধতে উচ্চ বর্ণের ও সচ্ছল হিন্দুরা বিন্দুমাত্র সংশয়ে ভোগে না।
আর এই সমর্থনের বিনিময়মূল্য পকেটস্থ করে এলিট শিক্ষিত মধ্যবিত্ত হিন্দু শ্রেণী। রাষ্ট্রের নানা অঙ্গের সংখ্যানুপাতিক সংখ্যালঘু হিস্যা এই অংশ কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নেয়। ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ অংশের সব সময়ের চাওয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেন আওয়ামী লীগ অধিষ্ঠিত থাকে, যাতে ক্ষমতার স্বাদ পেতে কোনো অসুবিধা না হয়।
হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের জমানায় জনসংখ্যার অনুপাতের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা হিন্দু সম্প্রদায়ের এলিট অংশটি পেয়েছে। মুজিব-হাসিনা শাসনামলে রাষ্ট্রীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন হিন্দু এলিটরা।
হিন্দুদের বিরুদ্ধে দুর্নাম রয়েছে- তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি আশ্রিত রাষ্ট্র বানাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। আর ভারতও এ দেশের ক্ষমতাকেন্দ্রিক শিক্ষিত হিন্দু অংশটির পৃষ্ঠপোষকাতায় আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে কিংবা বসাতে সর্বাত্মক সহায়তা করে। প্রতিদানে আওয়ামী লীগ ভারতের স্বার্থ সংরক্ষণে ছিল নির্লজ্জ। শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-বাংলাদেশ সম্পাদিত চুক্তিগুলো তার বড় নমুনা। এসব চুক্তির বেশির ভাগে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি।
রূঢ় বাস্তবতা হলো- মুজিব ও হাসিনার আমলে সাধারণ হিন্দুরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে হিন্দু সম্পত্তি দখল করেছিলেন তা ছিল নজিরবিহীন। খোদ আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী আবুল বারকাতের এক গবেষণা মতে, ‘স্বাধীনতার পরে জমি দখলকারী বেশির ভাগ ব্যক্তি পরে আওয়ামী লীগের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক রেখেছিলেন।’ এ তথ্য সংখ্যালঘু রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের দ্বৈত কৌশল উন্মোচিত করে।
এ দিকে শেখ হাসিনার শাসনামলেও যে হিন্দুরা পাইকারি হারে নির্যাতিত হয়েছেন তার কয়েকটি নমুনা উপস্থাপন করা হলো। যদিও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আশান্বিত হয়েছিলেন; কিন্তু গত সাড়ে ১৫ বছরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন ও সালিশকেন্দ্র’-এর ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হিন্দুদের ওপর তিন হাজার ৬৭৯টি হামলা হয়েছে। জানুয়ারি ২০১৩ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত সংগঠনটি সংখ্যালঘুদের মন্দির ও মূর্তির ওপর এক হাজার ৮৭৯টি আক্রমণ এবং দুই হাজার ১৯০টি হামলার মামলা নথিভুক্ত করেছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে দুর্গাপূজার সময় দেশে ১৫টি জেলায় কিছু হামলার শিকার হন হিন্দুরা। কুমিল্লায় মন্দিরে মূর্তির সামনে কুরআন রাখা ও পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার করা আসামিকে পাগল সাজিয়ে রেহাই দেয়ার নাটক চিত্রায়নে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কোন নেতার সংশ্লিষ্টতা ছিল তা সবার জানা। দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে তার তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় আগুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরের ঘটনা, খুলনার পাইকগাছায় হিন্দুবাড়িতে আগুন ও লুটপাট, শ্রীমঙ্গলের চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আন্দোলনকারী শ্রমিক প্রীতম দাসকে কিভাবে ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে ফাঁসিয়ে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে ১৩১ দিন কারারুদ্ধ করাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার এবং এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা তদানীন্তন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়াতে আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে সংঘটিত অপরাধগুলো এবং অপরাধীরা প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে।
শুধু হিন্দু নয়, দেশের অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন বৌদ্ধদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ১২টি বৌদ্ধবিহার ও প্রায় ৩০টি বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। ফেসবুকে শেয়ার হওয়া একটি পোস্টের জের ধরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন তদন্তে উঠে আসে, ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নিতে আড়ালে জড়িত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সম্পত্তি গ্রাস করা। ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির জায়গাটি, যা এত বছর পরও এখনো আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি।
সংখ্যালঘুদের ওপর এসব সহিংস ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, বিকল্প কোনো দল বা জোট না থাকায় মন্দের ভালো হিসেবে হিন্দুরা আওয়ামী লীগকে এতদিন সমর্থন করেছেন, নাকি অন্য দলগুলো সংখ্যালঘু হিন্দুদের আস্থায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে? তবে আশার কথা, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসনের অবসানে দেশে ক্ষমতার তাৎপর্র্যপূর্ণ পালাবদল হয়েছে।
হাসিনা পতনের আন্দোলনে একটি ইতিবাচক দিক হলো- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে হিন্দুরা অংশগ্রহণ করেছেন। বেশ কয়েকজন হিন্দু নিহত হয়েছেন। এতে করে একটি বার্তা পরিষ্কার, সংখ্যালঘুরা বিকল্প পেলে তাদের ওপর আস্থা রাখতে প্রস্তুত।
সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীকে আস্থায় আনতে নীতিগত ও দৃশ্যমান আন্তরিকতা প্রদর্শন করা।
এ ক্ষেত্রে আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন অথবা এখনই অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন ও ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ এবং ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়’ গঠন করলে তা তুরুপের তাস হিসেবে দারুণভাবে কাজে লাগতে পারে।
অন্য দিকে ভারতের প্রতি দুর্বলতা বাদ দিয়ে সাধারণ হিন্দুরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিচক্ষণতার সাথে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিলে আমাদের জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণে সহায়ক হবে। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা।
এই আকাক্সক্ষা ধারণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের অভীষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রেতাত্মারা বাদে দেশের সবাইকে এখন জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে সামনে এগোনোর শপথ নিতে হবে। তা হলেই বাংলাদেশ একটি নাগরিক রাষ্ট্রে রূপ পেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাবের অপ-সম্পাদকীয় থেকে নেয়া।
camirhamza@yahoo.com