নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৯ অক্টোবর ২০২৪ , ২:১৯:১৩ অনলাইন সংস্করণ
সিলেট সিটি করপোরেশন ৩৬ নং ওয়ার্ড বালুচর এলাকায় পাহাড় কাটার সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইলেকট্রনিকস প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে বেশ কিছুদিন যাবত ধরে।
এরিমধ্য সিলেট ৫ নং টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মোছাব্বির মিয়া’র নাম প্রকাশে তাহার নির্দেশে পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপানো হচ্ছে ও প্রচার করা হচ্ছে,।
এবিষয়ে আলহাজ্ব আব্দুল মোছাব্বির চেয়ারম্যান মুঠোফোনে জানান যে, গত ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ইংরেজি বৃহস্পতিবার, দৈনিক প্রথম সংবাদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও কয়েকটি পত্রিকায় “শিরোনামে টিলা কাটার সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন কর্মকর্তারা, ও বালুচর জোনাকীতে থামানো যাচ্ছে না টিলা কাটা : প্রশাসনের ভুমিকা নীরব” সংবাদের এমন শিরোনামে নিউজ অলনাইনে পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আমার নির্দেশে টিলা কাটা হচ্ছে এ ব্যাপারে পরিবেশ বাদী হয়ে এর আগেও একটি মামলাও করেছে। মামলাটি বর্তমানে পরিবেশের কাছে বিচারাধীন রয়েছে। এবং বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখিত করা হয়েছে। এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে আমার মানহানী করা হচ্ছে বলে মনে করছি।
বিগত ১০ বছর ধরে আমার কোন জায়গায় টিলা কাটা হয়নি, পাশ্ববর্তী অনেক প্রভাবশালী লোকের টিলার জায়গা রয়েছে, লোক মারফতে চুক্তির মাধ্যমে রাতের আঁধারে টিলা কাটা হয়ে থাকে, অথচ যাদের টিলা পাহাড় কাটা হয়, কিংবা যারা এই টিলা পাহাড় কেটে পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে টেলে দিচ্ছে, তাদের নাম কেন পত্রিকায় ছাপানো হয়না, কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, আমার নামে কোনো জায়গায় পাহাড় কাটা হচ্ছেনা,
আমাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয় আমাকে ভয় দেখিয়ে বড় অংকের টাকা আদায়ের জন্য ।
আমি ৫নং টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি নিঃস্বার্থে এই এলাকার মানুষকে সেবা দিয়েছি, আমার পরিবার এলাকার একটি সনামধন্য পরিবার।
এলাকার কিছু কূ-চক্রি মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার জন্য, আমার ছেলে (জহিরুল হক হিরু) গত ২১ জুন ২০২৩ ইং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, এবং সাধারণ মানুষের জনসমর্থনে বিপুল পরিমাণ ভোট পায়, নির্বাচনে কোন এক ইঙ্গিতে শতাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়, আমার ছেলের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য আগামী নির্বাচন কেন্দ্রীক ইস্যু ধরে পত্রিকায় এরকম সংবাদ প্রচার করছে একটি কুচক্রী মহল ।
আমার বক্তব্য বিহীন এমন গুজব ছড়ানো সংবাদ প্রকাশের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং যে সকল কুচক্রী মহল এমন উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ আমাকে জড়িয়ে আমিও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে চাচ্ছেন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।
উদ্দেশ্যমুলক হয়রানির জন্য যেই সংবাদ আমাকে জড়িয়ে প্রচার করা হয়েছে, নিম্নে সংবাদটি তুলে ধরা হলো ও সংবাদ লিঙ্ক দেওয়া হলো।
টিলা কাটার সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন কর্মকর্তারা
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গতকাল বুধবার ২৩ অক্টোবর প্রথম সকালে প্রকাশিত “বালুচর জোনাকীতে থামানো যাচ্ছে না টিলা কাটা : প্রশাসনের ভুমিকা নীরব” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর বালুচর জেনাকী আবাসিক এলাকার টিকলাকাটার স্হান পরিদর্শন করেন সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আশিক কবির, সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বদরুল হুদা ও ভুমি সার্ভেয়ার আব্দুর রউফ।
এসময় জোনাকী এলাকার স্হানীয় জনগনের সাথে কথা বলে টিলাকাটার সত্যতা যাচাই করেন। স্হানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে তিনি টিলাকাটার স্হান পর্যবেক্ষন করে টিলাকাটা চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আশিক কবির উপস্হিত এলাকাবাসিকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এই চক্রটি এতই চালাক ওরা দিনে টিলা না কেটে গভীর রাতে কাটা শুরু করে ভোর বেলা সটকে পড়ে। তাদের এই চালাকির খবর ও আমাদের কাছে আছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্হা নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এই টিলার মালিক আব্দুল মছব্বির একজন প্রবাসী, তার নির্দেশে টিলা কাটা হচ্ছে এ ব্যাপারে পরিবেশ বাদী হয়ে এর আগেও একটি মামলাও করেছে। মামলাটি বর্তমানে পরিবেশের কাছে বিচারাধিন রয়েছে। এরপরও ফের চক্রটি টিলা কেটে যাচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধেও মামলা হবে।
এসময় স্হানীয় জনৈক এক ব্যাক্তি টিলা কাটার সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্ল্যেখ করেন। জানা যায়, সিডিআই বাবুল, আলাউদ্দিন, মাটি আনোয়ার, জোনাকির রিপন গংরা হলেন টিলা কাটার ঠিকাদার। সাথে রয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অসাধু কয়েকজন কর্তা ব্যাক্তি।
এ ব্যাপারে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বদরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, আমরা টিলার মালিকদের কাগজাত নিয়ে আসার জন্য বলেছি।
কাগজ পর্য়ালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যাদের নাম উল্ল্যেখ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।