• লিড

    ছাত্র-জনতা হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বহাল

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ , ২:৩০:৪১ অনলাইন সংস্করণ

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হলেও হত্যায় খুনে অভিযুক্ত ও ইন্ধনদাতা পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

     

    জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা সদর দফতরের বিশেষ মনিটরিং সেল থেকে সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও নিপীড়নের আদেশ সমন্বয়ের কাজ করেছেন ফ্যাসিবাদের সেসব দোসররা পদায়ন পেয়ে এখনো বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, এসবি, সিআইডি, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত রয়েছেন।

     

    ফলে আওয়ামী লীগের আমলে বৈষম্যের শিকার পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে পেশাদার, সৎ ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

     

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপিসহ ঢাকাস্থ ইউনিটে কর্মরত জাতীয়তাবাদ ও ইসলামপন্থীদের গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় ব্যাপকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।

     

    পুলিশে আওয়ামী সিন্ডিকেটের সহযোগীরা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের সুবিধা ভাগিয়ে নিয়ে গোপনে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্যাক্রমের তথ্য ফাঁস ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

    গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচনে কাজ করা এবং তৎকালীন সময়ের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের অত্যন্ত আস্থাভাজন কর্মকর্তারা রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। এসব কর্মকর্তাদের কাজকর্ম অনেকটাই আওয়ামী ধরনের।

    এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের নীতি নির্ধারকরা অন্ধ। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করায় মাঠপর্যায়ের পুলিশে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। স্থবির হয়ে পড়েছে পুলিশ সদর দফতরসহ পুলিশের বড় বড় ইউনিটের মনিটরিংয়ে। গত শনিবার ২৬ অক্টোবর রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, পুলিশ বাহিনীতে এখনো কিছু সদস্য কোনো দল বা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছে। খুনের জন্যও পুলিশের বদলি ছাড়া আর কোনো শাস্তি হয় না। কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি আগামী দিনে সেখানে এর চেয়ে আরো বড় অভ্যুত্থান হবে ও বেশি রক্তপাত ঘটবে। যেসব পুলিশ সদস্য অন্যায়ভাবে আন্দোলনে আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

    সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা নাশিয়ান ওয়াজেদকে সম্প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অতিরিক্ত ডিআইজি অপারেশনের দায়িত্ব থেকে বদলি করে পুলিশ স্টাফ কলেজে পদায়ন করা হয়েছে। বিষয়টিকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো মনে করছেন অনেকে। নাশিয়ান ওয়াজেদ ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপি সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ মধ্যরাতের নির্বাচনের পরিকল্পনাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে এআইজি অপারেশন্সের দায়িত্বে থেকে সারাদেশে পুলিশ ইউনিটসমূহের সমন্বয়ের কাজ করেছেন বলে অভিযোগ আছে। পুলিশ সদর দফতরে আওয়ামী আমলের অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক ও সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারের পিএস ও প্রভাবশালী অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ কল্যাণ স্টাষ্ট মোনতারিুল ইসলামসহ এমন অনেক কর্মকর্তাও রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত গোপন বৈঠকসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িতদের গ্রেফতার, হয়রানি, গায়েবি মামলা, বিভিন্ন নাশকতার গোপন ফাঁদ তৈরিসহ একতরফা নির্বাচন, মধ্যরাতের নির্বাচন ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের পুলিশি সিন্ডিকেটের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছেন। এসব কাজ করে আওয়ামী সরকারকে খুশি করে এসব কর্মকর্তারা পুলিশ সদর দফতরে পদায়নসহ নিয়মিত পদোন্নতি নিয়েছেন।

    ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মধ্যরাতের একতরফা নির্বাচনের সহযোগী হিসেবে কর্মরত পুলিশ সদর দফতরে ৩৩ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তাহের, ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (যিনি বর্তমানে পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা হিসেবে পদায়িত হয়েছে), ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিসহ বর্তমান মিশনে কর্মরত), ৩৩ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইশরাত জাহান, ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন মাহমুদ ও মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজা আক্তার, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবু হাসান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও বর্তমানে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত মোশাররফ হোসেন, ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা এআইজি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা ফেরদৌসি রহমান, ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানাসহ (যিনি সম্প্রতি এডিসি ডিএমপি হিসেবে পদায়িত) অন্যান্য কর্মকর্তারা তৎকালীন শীর্ষ দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছেন।

    ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পুলিশ সদর দফতরের গোপনীয় ও এলআইসি শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের প্রায় সব কর্মকর্তা গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিরোধীদল দমনের গোপনীয় নির্দেশনা সমন্বয়, গ্রেফতার ও ধরপাকড়ের নির্দেশনা তৈরি ও বাস্তবায়ন, বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গোপন কল রেকর্ড আড়িপাতার কাজে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর এসব কর্মকর্তাদের সবাই পুলিশের অত্যন্ত গোপনীয় ও সংবেদনশীল এলআইসি (ল’ ইন্টারসেপ্সন্স সেল) শাখায় কর্মরত থাকায় বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

     

    শুধু তাই নয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ছাত্রলীগের পদধারী ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুবর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ, মোহাম্মদ হাসিনুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে সদর দফতরের ডেভেলপমেন্ট শাখায় কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় এখনো কর্মরত আছেন।

     

    ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে যেসব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপাররা বদলি ও পদায়ন শাখায় শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন হিসেবে পদায়িত ছিলেন তারা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও স্বপদে বহাল থাকায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

     

    আওয়ামী সরকারের দোসর হয়ে কাজ করা অনেকে এখনোও গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ সদর দফতর, এসবি, সিআইডিসহ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে বহাল তবিয়তে কাজ করছেন।

     

    এসএস ইমিগ্রেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও দখল করে রেখেছে আওয়ামী সুবিধাবাদি পুলিশ কর্মকর্তারা। ইমিগ্রেশন দিয়ে কে বা কারা কখন কোথায় যাচ্ছে এসব তথ্য পাচার করছে বলে অভিযোগ এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

     

    ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে যেসব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপাররা বদলি ও পদায়ন শাখায় শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পদায়িত ছিলেন ওইসব কর্মকর্তারাই বর্তমানেও স্বপদেও বহাল থাকায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

     

    গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বিশেষ করে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনসহ পূর্ববর্তী সময়ে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি ড. শামসুন্নাহার, ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ উল্লাহ, ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, বিরোধীদলের আন্দোলন দমন ও নিপীড়নের অন্যতম হোতা ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বহুল আলোচিত বিপ্লব কুমার সরকারের সবচেয়ে আস্থাভাজন কর্মকর্তা ২৪ ব্যাচের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান সাত্তার, ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজ রহমান আল মামুন, গত ১৫ বছরে পুলিশ সিন্ডিকেটের হোতাদের সহযোগী এবং নিজেকে প্রতিদিন শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাসহ গুটিবাজ কর্মকর্তাদের আদর্শের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের সময় এআইজি অপারেশনসসহ গত ১৫ বছরে সব আইজিপিদের আস্থাভাজন হিসেবে কর্মরত থেকেছেন এবং বর্তমানে নিজেকে নানারকম বৈষম্যের শিকার দাবি করে পটপরিবর্তনের সঙ্গে একাত্ম করে ফেলেছেন, ৯১ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক (যিনি গত সরকারের সময় নিয়মিত পদোন্নতিসহ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় পদায়িত ছিলেন) ছিলেন আওয়ামী আমলে পুলিশের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামান, ২২ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি ফারুক আহমেদ (যিনি ২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারসহ পরবর্তীতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তৎকালীন শীর্ষ পুলিশ সিন্ডিকেটের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত) ডিএমপির আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সময়ে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পিআইও শাখায় কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহছান সাত্তারসহ চিহ্নিত কর্মকর্তারা এখনো সদর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কর্মরত থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের সিন্ডিকেট পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

     

    এছাড়া ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জেলায় পদায়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকের তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী সময়ে সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন। ডিএমপিতে পদায়িত কর্মকর্তাদের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনা করে নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দেয়া উপ-পুলিশ কমিশনার তাহমিনা তাকিয়া, আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক নরসিংদী ও যশোরের পুলিশ সুপার এবং সর্বশেষ পুলিশ সদরদফতরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়াদ্দারের আস্থাভাজন তানিয়া সুলতানার পদায়ন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    পুলিশের অনেক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইনকিলাবকে বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হলেও হত্যায় অভিযুক্ত ও ইন্ধনদাতা পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

    সূত্রঃ ইনকিলাব

    আরও খবর

    Sponsered content