গাজীপুর মহানগরের শিমুলতলী এলাকায় ষ্টার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিস হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ২৪ নং ওয়ার্ড ছাইদ মার্কেট শিমুলতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ষ্টার ক্যাবল নেটওয়াক এর মালিক স্থানীয় রেজাউল করিম কলিম (৫০) সদর থানায় ৭জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, শিমুলতলী মৌবাগ এলাকার মৃত রহিম নেওয়াজের ছেলে মোঃ আমজাদ নেওয়াজ (৫৫), শান্তিবাগ এলাকার মোঃ নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ রাকিব ওরফে জ্যাকশন রাকিব (২২) মোঃ রাজা মিন্টু (৪৫), নূর ইসলাম ওরফে ইসলাম (৪৫), মোঃ আলমগীর (৪৭), জাহাঙ্গীরের ছেলে মোঃ সেলিম (২৪), চতর নয়াপাড়া এলাকার মোঃ শফিক (রং মিস্ত্রি) ছেলে মোঃ তাসিন (২২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিমুলতলী ছায়াবাগ এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুছা মিয়া রেজাউল করিম কলিম দীর্ঘ দিন ধরে ছাইদ মার্কেটে “ষ্টার ক্যাবল নেটওয়ার্ক” নামক ডিস লাইন সংযোগের ব্যবসা করার পাশাপাশি শিমুলতলী মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। “ষ্টার ক্যাবল নেটওয়াক” বাংলাদের সমরাস্ত্র কারখানা আবাসিক এলাকা, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী আবাসিক এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় সংযোগ দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। ঘটনার দিন ৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় আমজাদ নেওয়াজ তার সহযোগীদের নিয়ে শিমুলতলী মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের সাধারণ শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এসময় মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে প্রতিবাদ করলে আসামী মোঃ আমজাদ নেওয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে আমজাদ নেওয়াজের নেতৃতে ছাইদ মার্কেট “ষ্টার ক্যাবল নেটওয়ার্ক” অফিসে অভিযুক্ত সহযোগীদের নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে জড়ো হয়। সেখানে রেজাউল করিম কলিমের সাথে কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ষ্টার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করে এবং রেজাউল করিম কলিমের উপর মারপিট করতে উদ্দ্যত হয়। এসময় অফিসের স্টাফ হিমেল (২০) ও রাকিব (১৮) তাকে রক্ষার জন্য বাধা দিলে উক্ত বিবাদীরা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ফুলা জখম করে।
এ সুযোগে বিবাদী নূর ইসলাম ওরফে ইসলাম অফিসে সংরক্ষিত ৪৫ হাজার টাকা দামের একটি এইচপি ল্যাপটপ, আলমগীরসহ অজ্ঞাতনামারা ডিস লাইন সংযোগের তিন লাখ টাকা মূল্যের ৫টি ট্রান্সমিটারসহ বিভিন্ন ডিভাইস, তাসিন ৫হাজার টাকা মূল্যের আইপি ক্যামেরা, সেলিম ক্যাশের ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরবর্তী বিবাদীরা একে অন্যের সহযোগীতায় পরস্পর যোগসাজশে ষ্টার ক্যাবল নেটওয়ার্ক আফসের টেবিল, চেয়ার, সোফাসেট, টেলিভিশনসহ সকল প্রকার মালামাল কুপিয়ে কেটে ও ভেঙ্গে আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
পরে বিবাদীরা চলে যাওয়ার সময় আইনের আশ্রয় নিলে রেজাউল করিম কলিমকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিবাদীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কিছু অংশ সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে।