ভাটি বাংলা ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:৫৯:১৯ অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর যানজট কমাতে এবং যাত্রী চলাচল দ্রুত করার এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। এখন প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে,
অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের। তার আমলে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালুর পর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত
গত ৪ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিগত আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পততের
ওবায়দুল কাদের তখন বলেন, মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা আয় হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএসটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত কনফারেন্সে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান,
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। এতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।
তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। এতে আমাদের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা। এর মধ্যে ২ শুক্রবার বন্ধ ছিল।
বুধবার কারিগরি ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। এতে এক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
তিনি বলেন, বুধবার আমাদের আয় হয়েছে মাত্র ৫৪ লাখ ৯১ হাজার ১৪০ টাকা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ যাত্রী ভ্রমণ করেছে মেট্রোরেলে। এই বিষয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এদিন ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯২ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। এতে সেদিন মেট্রোরেলের আয় হয়েছে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৬ টাকা। এছাড়া গড়ে প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ মেট্রোরেল ভ্রমণ করে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে উত্তরা থেকে মিরপুর এবং ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি মেট্রোরেল লাইন-৬ নামে পরিচিত।
প্রথম পর্যায়ে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হয়। গত ৪ নভেম্বর চালু হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত এই মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরে তা কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়।