তারা এখনো কিছু বলেনি। ‘সরকারকে বলছি, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার যে আইনগত ব্যবস্থা আছে, সেইমত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছে, এটা ঠিক, কিন্তু তার যে প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। তারা কিন্তু ভুলতে পারে না। তারা চুরি, লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাম্রাজ্য তৈরি করেছে, বিরাট বিরাট বাড়ি তৈরী করেছে- তারা এটা ভূলতে পারে না।
তারা ভাবে, আবার যদি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আানতে পারতাম, তাহলে আবার লুট করতে পারতাম। সেই জন্য তারা দেশের বিভিন্ন জায়গার, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।
“তারা সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র করছে, শিল্প এলাকায়। বিশেষ করে আমাদের পোশাক শিল্পে। আমাদের মা-বোনেরা যে পোশাক কারখানায় কাজ করে, সেখানে তারা ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যে রপ্তানি করা হয়েছে, তার শতকরা ৮৫ ভাগ আসে পোশাক রপ্তানি থেকে। এ শিল্প থেকে আমাদের বছরে আয় হয় ৪৭ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। আমাদের প্রায় ৫০ লাখ ১৭ হাজার শ্রমিক এ খাতে কাজ করে। তাই এ খাতটাকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বন্ধুগণ স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন বিরাট কাজ, তেমনি এটা রক্ষা করা আরো কঠিন। এ সময় তিনি অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বলেন, তিনি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সরকার গঠন করেছেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, আপনারা অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ গত পনেরো বছরে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে, এই জঞ্জালগুলোকে দূর করে একটা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করেন। যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো, তারা একটা নির্বাচন করতে পারবে এবং একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
তিনি (ড. ইউনূস) সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তাকে আমরা সহযোগিতা করছি।