• রাজনীতি

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নেই এই কষ্ট ভারতের মেনে নিতে পারছে না- রিজভী

    ভারত কি নববধূকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন।

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৫৮:০৯ অনলাইন সংস্করণ

    বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক এটা ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে কিনা সেই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে।

    আমি যে গ্রেফতার হতে পারি, গুম হতে পারি, এই শঙ্কা আর নেই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে । এটা কি আপনারা (ভারত) চাচ্ছেন না? নাকি এসব মেনে নিতে পারছে না? শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশে নেই এই কষ্ট কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা মেনে নিতে পারছে না? ভারতকে মনে রাখতে হবে, এদেশের কোন দল বা ব্যক্তির সাথে যদি ভারতের যোগাযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ সেটি ভালোভাবে মেনে নেবে না।

    গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে নার্সেস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন কমান্ডোদের সাথে বৈঠক করেছেন এটা উদ্ভেদজনক বিষয় নয়। এটা উস্কানি কিনা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনারা (ভারত) কি নববধূকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। তাহলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এভাবে কথা বলছে কেন?

    ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক এটা কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না? আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বে শ্রদ্ধা করি। ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা।

    রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেমন দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করতে পারে, তেমনি বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং তেজ দেখাতে জানে। বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথার মধ্যে কিন্তু রাখতে হবে।

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছর শাসনে কেউ একটু শব্দ করতে পারত না। বাংলাদেশের মানুষ কি চাইতো আর চাইত না সেটা শেখ হাসিনার ধার-ধারতো না। মানুষের পিঠ দেওয়ালে এমনভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন যে মানুষ তার জীবনের মায়া না করে তার পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমেছিল।

     

    তিনি বলেন, যারা নিজের দেশের জনগণের উপর অত্যাচার করে, হত্যা করে, আয়না ঘর বানিয়ে বছরের পর বছর মানুষদেরকে আটকে রাখে তারা দেশ পরিচালনা করবে কিভাবে? কিছুদিন পুলিশ দিয়ে হত্যা-গুম করে দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষ তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের পতন করেছে।

    যেমনিভাবে ব্রিটিশদেরকে তাড়িয়েছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের দাঁড়িয়েছে ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

    বিএনপির সহ-নার্সেস বিষয়ক সম্পাদক ও ন্যাব সভাপতি জাহানারা বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, সদস্য মো. মাহবুবুল ইসলাম, ইঞ্জি. ইকবালুর রহমান রোকন, ন্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মিয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. আউয়াল, ন্যাব নেতা মাহমুদ হোসেন তমাল, শাহীনুর রহমান, মর্জিনা আক্তার, মমতাজ বেগম, বিএম রাশেদুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।

    আরও খবর

    Sponsered content