• জাতীয়

    ভ্যানে থাকা লাশের স্তূপ ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১২:৩৪:১৩ অনলাইন সংস্করণ

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া আলোচিত একাধিক ভিডিওতে পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার লাশের স্তুপ করে রাখা ও আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

     



    এঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈন।



    রবিবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাজেদুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

    পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈন বলেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের জায়গা থেকে যা করনীয় তা আমরা করছি। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন।

     



    আমরা সবার সহযোগিতায় পেয়ে গেছি কারা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নাম গুলো প্রকাশ করছি না। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে প্রকাশ করা হবে।



    পুলিশ সুপার বলেন, যে গুলো ভিডিও এসেছে সেগুলো দেখেছি, তবে ফিজিক্যাল এভিডেন্স এখনও পাইনি। এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই গতকাল একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে।

    আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আশা করছি খুব ভাল একটা রেজাল্ট আসবে।
    জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অপরাধী, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। পুলিশ আইনের বাইরে নয়।

    তিনি আরও বলেন, শুধু ছাত্র-জনতা না, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্যানে লাশের স্তুপের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুইজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে থাকা লাশের ওপর নিক্ষেপ করছেন। ভিডিওটির শেষের অংশে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।

     

    ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় যুবলীগের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের।

     

    সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশেই। আরেকটি ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, আশুলিয়া থানার সামনে একটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা তা ঘিরে দাড়িয়ে আছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content