তৌফিকুর রহমান তাহের, শাল্লা প্রতিনিধিঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২:৪৭:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
প্রচলিত রাজনীতিকে কবর দিতে হবে। রাজনীতি করতে হলে মানুষকে সম্মান দিতে হবে। সময়কে প্রধান্য দিতে হবে।
আজ (সুনামগঞ্জ)শাল্লায় সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এ্যাড: শিশির মনির।
তিনি বলেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্ম নেই। কে হিন্দু,কে মুসলমান এটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো আমরা মানুষ।
যেমন উদাহরণ স্বরুপ তিনি বলেন যদি কোন জায়গায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে হিন্দু-মুসলমান না খুঁজে আগে তাদেরকে উদ্ধার করতে হবে। তিনি বলেন স্বাস্থ্য,শিক্ষা,রাজনীতি, সম্প্রীতি এগুলোতে কোন ধর্ম নেই। এগুলো সবার মধ্যেই ঘটে। কারো যদি স্বাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতি হয় সেখানে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে হয়ে থাকে না।
তিনি বলেন হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। দেশ ও জাতি উন্নয়নে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
প্রচলিত রাজনীতির কবর দিতে হবে। অনেকেরই বাড়ি আছে,গাড়ি আছে,ছেলেমেয়ে আছে কিন্তু সুখশান্তি নেই। আবার অনেকেই রাস্তায় রিক্সা চালায় হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে তাদের মধ্যে আবার অনেক সুখ রয়েছে। শুধু পয়সা হলেই সুখশান্তি লাভ করা যায় না। একজন হতদরিদ্র মানুষ ও একজন অট্টালিকায় বসবাস করা মানুষের সুখের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
তিনি বলেন মানুষের মধ্যে যদি এসব পার্থক্য না থাকতো তাহলে মানুষ ঈশ্বর ছিনতো না। আল্লাহকে ডাকতো না। সবাই ফেরাউনের মত হয়ে যেতো।
১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় গণমিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশটি পালন করা হয়েছে। উপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গঙ্গেস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা সুহেল আহমেদ, সাগর আহমেদ ও জগৎজ্যোতি রায়ের যৌথ সঞ্চালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী আমির হোসাইন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সাত্তার, ৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিপাল দাস মিল্টন, শ্যামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার চৌধুরী, জামায়াত ইসলামের শাল্লা শাখার সভাপতি হাফেজ নূরে আলম সিদ্দিকি, খালিয়াজুরি উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রুহুল আমিন, গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল চৌধুরী, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম প্রমূখ।