• খেলাধুলা

    পিন্ডিতে বাংলাদেশের ‘লাল সবুজের বিজয় নিশান

    ‘জিতেগা ভাই জিতেগা!’। ডিজের কথার সঙ্গে মিল রেখে দর্শকেরা বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ জিতেগা!’

      ভাটি বাংলা ডেস্কঃ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২:১২:০৭ অনলাইন সংস্করণ

    স্কোর লেভেল। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় লেখা উঠছে- জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১ রান। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের ডিজে ঠিক সে সময়ে সাউন্ডবক্সে বললেন-



    ‘জিতেগা ভাই জিতেগা!’। ডিজের কথার সঙ্গে মিল রেখে দর্শকেরা বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ জিতেগা!’



    স্ট্রাইকে সাকিব আল হাসান। বল হাতে রানআপে দৌড়ে আসছেন আবরার আহমেদ। তার শেষ বলটি এক্সটা কাভার দিয়ে সীমানা ছাড়া করলেন দেশসেরা ওপেনার। ওপরপ্রান্তের স্টাম্প মাইকে স্পষ্ট শোনা গেল গর্জন। সেটি যে মুশফিকুর রহিমের তা বুঝতে বাকি থাকলো না কারো। সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়লো ড্রেসিংরুমের বারান্দায়। উল্লাস ফেটে পড়ল গোটা বাংলাদেশ দল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্ট হারিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলল বাংলাদেশ দল। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারানোর পর দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়ে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে ‘টেস্টওয়াশ’ করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

    এবারই প্রথম পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হারাল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের পর জিতল তৃতীয় টেস্ট সিরিজ। প্রতিপক্ষ, প্রেক্ষাপট বিচার করলে এই সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই সবার উপরে রাখা যায়। এই টেস্টে আরেকটি অনন্য রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশই টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দল যারা প্রথম ইনিংসে ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পরও টেস্ট জিতেছে। প্রথম ইনিংসে এত অল্প রানে ৬ উইকেট খোয়ানোর পরও কোনো দলের জয় টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল সেই ১৮৮৭ সালে। অর্থাৎ ১৩৭ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাল বাংলাদেশ। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৪৫ রানেই। তারপরও অজিদের জয়ের জন্য ১১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ১৩ রানে ম্যাচ জিতেছিল সফরকারীরা।

    পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্য সতর্ক পথে ৪ উইকেট হারিয়ে স্পর্শ করে নেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। নাটকীয়তায় ভরা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ওই অবস্থা থেকে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের বিশ্ব রেকর্ড গড়া ১৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। লিটনের অনবদ্য ১৩৮ রানে ২৬২ রান তুলে ফেরে লড়াইয়ে। এরপর বোলারদের পালা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে আটকে দিতে বাংলাদেশের তিন পেসার মিলে নেন ১০ উইকেট। টেস্টে এই কৃতি বাংলাদেশের প্রথম। এরমধ্যে হাসান মাহমুদ নেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট।
    লিটন-মিরাজের ব্যাটিং বীরত্বের পর দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং দুর্দান্ত এক জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। সেখানে হাসানের পাশাপাশি বড় ভূমিকা তরুণ পেসার নাহিদ রানার। এই সিরিজের আগে এমন ফলের প্রত্যাশা খুব বেশি কেউ করেননি। তবে দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পিত ক্রিকেট আর নিখুঁত প্রয়োগে এসেছে অবিশ্বাস্য এক ফল।

    প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জেতা ও তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তির ঢেঁকুরও তুলল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে এর আগে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ২০০৯ সালে। তবে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বনিবনা না হওয়ায় সেবার খেলেছিল দ্বিতীয় সারির ক্যারিবিয়ান দল।

     

    সব মিলিয়ে বিদেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। সেটা অবশ্য ছিল এক ম্যাচের সিরিজ।

    এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ টেস্টে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল। এর আগে দুবার করে সিরিজ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তবে এবারের জয়টা পাকিস্তানের মাটিতে বলেই এর মাহাত্ম্য আলাদা।

    ২০২২ সালে ইংল্যান্ড সিরিজ ছাড়া এই প্রথম ঘরের মাঠে কোনো দলের বিপক্ষে ধবলধোলাই হলো পাকিস্তান। বাংলাদেশের জন্য যা নিশ্চিতভাবেই দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাফল্য।

     



    সেটি বেঝাতেই কি-না ম্যাচ শেষ হতেই স্টেডিয়ামের সাউন্ডবক্সে বেজে উঠল, ‘লাল সবুজের বিজয় নিশান হাতে হাতে ছড়িয়ে দাও…।



     

    ’ ব্যর্থতা ও হতাশার অনেক প্রহর পেরিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ এবার সত্যিই পেরেছে বিজয় নিশান ছড়িয়ে দিতে, পাকিস্তানে যেমন, তেমনি ক্রিকেট বিশ্বেও।

    টেস্ট সিরিজ খেলতে যখন দেশ ছাড়েন শান্তরা, তখনও কাটেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রেশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার আগেই অন্তত ১২টি জেলায় আঘাত হানে ভয়াবহ বন্যা। পরপর দুটি ঘটনায় বাড়তে থাকে মানুষের দুর্ভোগ, ভোগান্তি পৌঁছে যায় চরমে। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতির মাঝে পাকিস্তানে বিজয় নিশান ওড়ালেন শান্ত, মিরাজ, লিটনরা। সিরিজের দুই টেস্টই জিতে পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ দল।

    সিরিজ শুরুর আগে এমন অর্জন কল্পনা করাও ছিল দুষ্কর। প্রথমত, ঘরের মাঠে সবশেষ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার। তার ওপর পাকিস্তানের মাঠে কোনো সংস্করণেই ছিল না কোনো সুখস্মৃতি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্টের ১২টিতে হার, অন্যটি ড্র। তবু নিজেদের প্রস্তুতিতে আস্থা রেখে প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় কণ্ঠে শান্ত বলেন, ‘রেকর্ড তো বদলাতেই পারে’।

    রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২-০ থাকা পরিসংখ্যানে নিজেদের খাতাও খোলে শান্তর দল। একই মাঠে পরের ম্যাচটি জিতে পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করা বিশ্বের দ্বিতীয় দল হয়ে যায় বাংলাদেশ। এছাড়া প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পূর্ণ শক্তির কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতল তারা। যে কোনো বিচারে এই সাফল্য অনেক বড়, খুবই স্পেশাল। সিরিজ শেষে আনন্দের মাঝেও দেশের কথা ভোলেননি শান্ত। এই অর্জনে কঠিন সময়ের মধ্যে থাকা দেশের ক্রিকেট-পাগল জনগণের মুখে হাসি ফুটবে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি সেদিনও (সিরিজ শুরুর আগে) বলেছিলাম কথাটা (পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের রেকর্ড ভাঙা)।

     

    আমার মনে হয়, এই জয়টা দেশের মানুষের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে আনবে। কারণ যেভাবে গত কিছু দিন ধরে বন্যা বলেন, আন্দোলনটা বলেন… অনেক মানুষের অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা যেভাবে ম্যাচটা খেললাম, আমার মনে হয় যে, একটু হলেও তাদের মুখে হাসি ফুটবে। আমরা সবাই জানি, আমাদের দেশের মানুষ ক্রিকেটের জন্য কতটা পাগল। আমরা ম্যাচ হারলেও সবাই যেভাবে আমাদের সমর্থন করে। তাই আমাদের ওটাই চেষ্টা ছিল, কীভাবে দেশের মানুষকে আমরা কিছু দিতে পারি। আমার মনে হয়, আমরা ভালো কিছু করতে পেরেছি।’

    জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন
    পাকিস্তানের মাঠে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরো অনেকে। পৃথক পৃথক বার্তা তারা এ অভিনন্দন জানান।

    এক অভিনন্দন বার্তায় প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন এই ঐতিহাসিক জয়ে জাতীয় দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানান। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৬ উইকেটে জয়ী হয়ে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের এই জয়ের ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ দলের এমন সাফল্য কামনা করেন তিনি।

    প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
    ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ফোন করে বলেন, ‘সরকার এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।’

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানায়, দেশে ফেরার পর ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

    যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার অভিনন্দন
    পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
    গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা।

    টেস্ট মর্যাদা অর্জনের ২৪ বছরে এসে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়, প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি প্রথমবার পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে টিম টাইগার। ঐতিহাসিক এই অর্জন উপলক্ষে জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন,‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাকিস্তানকে টেস্টে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করা কিংবা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতা, সবকিছুই নতুন বাংলাদেশের প্রতিফলন।’ বাংলাদেশ দলের এমন ক্রীড়া নৈপুণ্যে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক বলয় থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে মুক্ত রাখলে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরো সাফল্য আসবে। সরকার সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়ে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নাজমুল হোসেন শান্তদের ঐতিহাসিক সাফল্যে আরো অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি (বিএসজেসি)।

    তারেক রহমানের অভিনন্দন
    এক অভিনন্দন বার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের এই বিজয়কে ঐতিহাসিক এবং ক্রিকেট খেলায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে বলেন, ‘ক্রিকেটে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের জন্য ধারাবাহিক যে সম্মান বয়ে আনছে তাতে আমি গৌরবান্বিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে হারিয়ে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট কোচ, কর্মকর্তাসহ সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।’

    মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
    অভিনন্দন বার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সারাবিশ্বে বাংলাদেশের জন্য যে ঈর্ষণীয় সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে তাতে আমি অভিভূত। এ জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সুদৃঢ় মনোবল ও ক্রীড়া নৈপূণ্য আরো একধাপ এগিয়ে গেল। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাংলাদেশের মুখকে আরও উজ্জল করতে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট কোচ, কর্মকর্তাসহ সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।’

    উল্লেখ্য, গত ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডিতে এই সফরের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় টাইগাররা। আর কাল একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন ৬ উইকেটে জিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সফরকারী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

    আরও খবর

    Sponsered content