• সুনামগঞ্জ

    দিরাইয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ২

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১১:৪১:৪৮ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের তাড়ল গ্রামে মাছ ধরার জাল চুরি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের তাড়ল গ্রামে মাছ ধরার জাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তাড়ল গ্রামের যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সুমন চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

    সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ দিদার (২৭) নামের একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্য আহতদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরী রুবেল চৌধুরীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরীর পক্ষের একজন সুনম চৌধুরীর লোকজনের মাছ ধরার জাল চুরির বিষয়ে গ্রামের সালিসি বৈঠক বসে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের উত্তেজনাকর কথাবার্তায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পায় গ্রামের লোকজন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

    এরমধ্যে সুনম চৌধুরীর পক্ষের গুলিবিদ্ধ দিদার চৌধুরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উভয় পক্ষে বৃদ্ধানারীসহ রাহেনা বেগম (৪৭), রুপি বেগম (৪০), রাশেদা বেগম (৬৫), কনা বেগম (৬৯), দিলারা বেগম (৬৫), কামরুল, রুনু মিয়া (৬০), আঙ্গুর মিয়া (৪০), আব্দুল ওয়াদুদ (৫২) ও আলী হামজা (১৭) দিরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    দিরাই উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতদের মধ্যে তিনজনের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ি করছেন।

    দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

    আরও খবর

    Sponsered content