: বরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:৩৮:২৫ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলার ৬ নং করিমপুর ইউনিয়নের টুক-দিরাই গ্রামের বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ জজকোর্ট এর সাবেক বিশিষ্ট আইনজীবী ও এসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট শহিদুল হাসমত এর টুক-দিরাইস্থ বসত বাড়িতে ঘরে ঢুকে লুটপাট ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র তছনছ করার অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনা বিবরনে জানা যায় বিগত ০৫/০৯/২০২৪ ইংরেজি তারিখে দিবাগত রাতে কোন এক সময় এই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক ভাটি বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো: বদরুজ্জামান বদরুল সরজমিন ঘটনার তদন্ত করতে গেলে বাড়ির কেয়ার টেকার আনোয়ার হোসেন বলেন – উকিল সাহেব এর আম্মা বিগত ৫ দিন ধরে সিলেটে চিকিৎসাধীন আছেন। আর উনার একমাত্র ছেলে এডভোকেট শহিদুল হাসমত খোকন বর্তমানে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী। বাড়িতে উনার মা একাই থাকেন আর আমরা স্বামী স্ত্রী উনাদের বাড়িতে পৃথক একটি ঘরে বসবাস করছি।
প্রতিদিনের মতো আমার স্ত্রী সকালে বাসার মূল দরজার তালা খুলে পরিস্কার করতে যেয়ে দেখেন ঘরের আলমিরা, ওয়ারড্রব, সকেস সহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং অন্যন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তছনছ হয়ে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এদিকে দৈনিক ভাটি বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো বদরুজ্জামান বদরুল হোয়াটস অ্যাপে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এডভোকেট শহিদুল হাসমত এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- আমার বাসার কেয়ার টেকার আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে কল করে বাসা লুটপাট ও কাগজপত্র তছনছ হওয়ার সংবাদ দিয়েছে এবং ভিডিও ডকুমেন্টস পাঠিয়েছে।
আমার আম্মা সিলেট একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বাসায় হামলা ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ হওয়ার প্রকৃত হিসাব পাবোনা। এছাড়া কোন ডকুমেন্টস বেহাত হয়েছে কি-না আমি ইংল্যান্ড থেকে বলতে পারবো না।
তবে আমি বাংলাদেশে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জগন্নাথপুর) আদালতে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি এডভোকেট শহিদুল হাসমত মামলা নং সি,আর ১৫/১৮ ইং (জগন্নাথপুর) পরিচালনা করেছি, যাহার আসামি ইসলামিক রাজনৈতিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক পিতা মৃতঃ ইউসুফ, সাং মাওলা বক্স, হাজীর টোলা, থানা ও জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের বক্তব্যে ও সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবের মাধ্যমে- দেশ, জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও দেশদ্রোহী বক্তব্য প্রচার করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। একজন আইনজীবী হিসেবে ইতিপূর্বে আমি বিগত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখে সুনামগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম, ডায়েরি নং ৪৪৫। এতে আসামি আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে এই মামলা পরিচালনা থেকে সরে দাড়াতে অনবরত হুমকি প্রদান করে, এতেও কাজ না হওয়ায় ২০২০ সালে সে এডভোকেট শহিদুল হাসমত এর স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যদের সবাইকে বিভিন্ন সিম নাম্বার থেকে মোবাইলে হত্যা ও গুম করার হুমকি প্রদান করে।
আমার বদ্ধমূল ধারণা সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুসারী কেউ বর্তমান বাংলাদেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমার বাসার হামলা করে থাকতে পারে।
আমি মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক বৃন্দের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানাই।
এবিষয়ে প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন কে বা কারা হামলা ভাঙচুর করেছে আমরা জানিনা।
দৈনিক ভাটি বাংলা পত্রিকাকে দিরাই থানার অফিসার ইন চার্জ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন আমরা এডভোকেট শহিদুল হাসমত এর গ্রামের বাড়ি টুক-দিরাই হামলা ভাঙচুর এর অভিযোগ পেয়ে থানা থেকে পুলিশ প্রেরণ করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।