বিশেষ প্রতিনিধিঃ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪:১৩:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ দাস এর বদলী ও নবাগত অফিসার ইনচার্জ শ.ম কামাল হোসাইন এর আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা সভা বয়কট করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১১ টায় অফিসার- ফোর্স ও জামালগঞ্জ থানার আয়োজনে থানা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া বিএনপির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংবাদিক হয়ে উপস্থিত থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকরা সভা বয়কট করেন।
উল্লেখ্য জামালগঞ্জে ১৫ বছর ধরে বিবাদমান দুটি প্রেসক্লাব বিভাজন হয়ে কাজ করছে। থানার সভায় এক গ্রুপের একজন বক্তব্য দিলে অন্য গ্রুপের সাংবাদিক সভা বয়কট করে চলে যান। বিষয়টি জানা জানি হলে উপজেলার সুধি সমাজে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক আ: আহাদ ( দৈনিক সংগ্রাম/সুনামগঞ্জের সময়) বলেন, থানার নতুন ওসির যোগদান ও বর্তামান ওসির বিদায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছুই জাননিনা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী সাংবাদিক নামধারী লোকদের দেখে দেখে অমন্ত্রন করায় আমরা সভা বয়কট করছি।
উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ (এনটিভি ইউকে/নয়াদিগন্ত) বলেন, থানার নতুন ও বিদায়ী ওসি মহোদয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সেখানে উপজেলা কর্মরত অনেক সাংবাদিক অনুপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও সংবাদকর্মী, উপজেলা কৃষকলীগের সেক্রেটারী ও সাংবাদিক উপস্থিত থাকায় আমি সভা বয়কট করে চলে এসেছি।
সাংবাদিক বাদল কৃষ্ণ দাস বলেন, জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের বিদায় এবং নবাগত অফিসার ইনচার্জের আগমন সংক্রান্ত কোন সভার আমন্ত্রণ পাইনি। প্রেসক্লাবের নামে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কেউ যদি এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন, তাহলে তা হয়তো থানার পুলিশের একান্ত পছন্দের সংবাদকর্মী কেউ কেউ থাকতে পারেন।
যতদূর শুনেছি, ঐ সভায় সংবাদকর্মী পরিচয়ে উপস্থিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্কিত পদে সংযুক্ত। পেশাদার সংবাদকর্মীরা এই সভানুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। তাই আমিও সভা বয়কট করার পক্ষে।
সাংবাদিক শাহীন আলম (দৈনিক ইত্তেফাক) বলেন, থানার নতুন-পুরাতন ওসির বিদায়ী বরন সভায় আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। মুখ দেখে দেখে আমন্ত্রন করা হয়েছে তাই আমরা এই সভা বয়কট করেছি।