• আন্তর্জাতিক

    চীন দখল করে নিয়েছে ভারতের ৬০ কিলোমিটার এলাকা!

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:৫৭:৪৬ অনলাইন সংস্করণ

     ছবি : অরুণাচল টোয়েন্টি ফোর

    ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনাবাহিনী- এমনটাই জানিয়েছেন অরুণাচলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, অরুণাচলের অঞ্জো জেলায় চীনা সেনার ক্যাম্প দেখা গেছে।


     

    শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

    খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা সেনাক্যাম্পের খোঁজ মিলেছে।

    ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি ওই অঞ্চলে ডেরা বেঁধেছে চীনা সেনাবাহিনী! ভারতীয় সেনাবাহিনীর মালবাহকেরাও একই কথা জানিয়েছেন।

    চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত।

    উল্লেখ্য, এই অঞ্জো জেলার চাগলাগাম এলাকা থেকেই দু’বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় দুই ভাই। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের অদূরেই এক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তারা। চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু’জন।

    স্থানীয়দের দাবি ছিল, চীনের পিপল্‌স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) হাতে বন্দী রয়েছেন তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে একাধিক বার নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

    অঞ্জোর বিধায়ক ও রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুল সে সময় সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘চীন এখনো সরাসরি স্বীকার করেনি ওই দুই যুবক তাদের হেফাজতে রয়েছে কি না। তবে আমাকে বলা হয়েছে, বেঁচে আছেন দু’জনেই।’

    যদিও অঞ্জোতে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সে রাজ্যের কোনো মন্ত্রী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

     

    ওই দুই ভাই ছাড়াও, ভারত-চীন সীমান্ত থেকে আগেও নিখোঁজ হয়েছেন একাধিক মানুষ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবানসিরি জেলা থেকে পাঁচ যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খোঁজ মেলে। এক সপ্তাহ পিএলএ’র হাতে বন্দী থাকার পর ফিরে আসেন তারা। ২০২২ সালেও এক কিশোর নয় দিন চীনা সেনা সদস্যদের হাতে বন্দী ছিলেন।

    আগেও একাধিক বার ভারত ভূখণ্ডে চীনা অনুপ্রবেশের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৯ সালে চীন-অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দইমরু নালার উপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল চীন। ২০২০ সালে দিবং জেলাতেও ঢুকে পড়েছিল চীনা বাহিনী।

    সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

    আরও খবর

    Sponsered content