• সারাদেশ

    হাসিনাকে ঢাকায় হস্তান্তরের দাবি

    ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির আওয়াজ সর্বত্রই অনুপ চেটিয়ার মতোই শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে :: গণহত্যা মামলা করে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি করে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা যায়

      নিউজ ডেস্কঃ ১৩ আগস্ট ২০২৪ , ১:০৩:৫৬ অনলাইন সংস্করণ

    খেলার ‘পাশা’ ঘুরে গেছে। গত ২৯ জুলাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (বর্তমানে পলাতক) দম্ভোক্তি করে বলেছিলেন, ‘দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে এনে দ্রুতই শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’ এ ঘোষণার এক সাপ্তাহের মাথায় ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। সেখানে মোদীর ছাতার নীচে বসে নিরাপদে তিনি জুটিশিয়াল ক্যূর চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে সংখালঘু নির্যাতনের ‘সারিন্দা’ বাজাচ্ছেন। এখন সর্বত্রোই দাবি উঠেছে, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত, বিভিন্ন বাম ও ইসলামী ধারার দল এমনকি জাতীয় পার্টির নেতারাও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার জন্য ভারতের প্রতি জোর চাপ সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছেন।

    দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দিল্লির তাবেদারী করার পুরস্কার হিসেবে মোদী সরকার ‘পতিত হাসিনার’ পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। অনুগতদের দিয়ে মিটিং মিছিল করাচ্ছে। হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে থেকে একের পর এক স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উষ্কে দিচ্ছে। তারা হিন্দু নির্যাতনের ‘ফেইক নিউজ’ ও ‘পুরনো ভিডিও’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বাংলাদেশ-ভারত বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। শুধু মাহবুব উদ্দিন খোকন নয় সর্বত্রোই দাবি উঠেছে পলাতক শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা। কেউ বলছেন, ভারতের ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে বাংলাদেশ থেকে যে আইনে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে দিল্লি সে আইনে হাসিনাকে ঢাকার কাছে হস্তান্তর করতে পারে। কেউ বলছেন, কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে হাসিনার ফিরিয়ে আনা হোক। কেউ বলছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির ব্যবস্থা করে তাকে আনা হোক। কেউ বলছেন, ভয় দেখিয়ে এবং দেশি-বিদেশী চাপ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে ঢাকার কাছে হস্তান্তরে দিল্লিকে বাধ্য করা হোক।

    ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারত পালালেও দেশে এখনো তার অনেক অনুচর রয়ে গেছে। বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হাসিনার অনুচর রয়েছে। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা চাপের মুখে পদত্যাগ করলেও বর্তমান প্রশাসনের আমলাদের বেশির ভাগই শেখ হাসিনার অনুচর। এমনকি অন্তর্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যেও হাসিনা অনুগত ব্যাক্তি রয়েছেন এমন দাবি তুলে মিটিং মিছিল এবং মানববন্ধন পর্যন্ত হয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া যে ভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা ফানুস উড়াচ্ছে এবং দেশের দিল্লির তাবেদার কিছু গণমাধ্যম শেখ হাসিনা ‘পালিয়েছে’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘চলে গেছে’ ব্যবহার করছেন; পাশাপশি প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘নাটক’ খবর প্রচার হচ্ছে; তাতে যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর কোনো অঘটনা ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হতে পারে। কার্যত দিল্লিতে বসে হাসিনা এসব বিশৃংখলা সৃষ্টির কলকব্জা নাড়ায় দাবেদারগণ এসব করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। দেশবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধ করতেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতে তুলতে হবে। অবশ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশে ফিরলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে শেখ হাসিনাকে। তার শাসনামলে সংঘটিত হওয়ায় গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে।’

    নতুন সরকারের উপদেষ্টাদের দু’একজন বাহুল্য কথাবার্তা বললেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান তুলে ধরে ভারতের মোদী সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘তোমরা (ভারত) বাংলাদেশকে ডিস্টাব করো না। ডিস্টাব করলে সেভেন সিস্টারর্স, পশ্চিমবঙ্গ ও মায়ানমারের বিপদ হবে।

    ভারতে পালানো শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে গতকাল অন্তর্বতীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিডেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা আপনি আসবেন। আপনি আসেন না কেন? আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন। স্বেচ্ছায় আসেন। গন্ডগোল পাকিয়ে কোনো লাভ হবে না’

    জানা যায়, ২০১৩ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তি মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্দী ও অপরাধীদের বিনিময় করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চুক্তি অনুযায়ী ২০১৩ সালে ভারতের ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে। অনুপ চেটিয়ার দীর্ঘ এক যুগ ধরে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দী ছিলেন। অনুপ চেটিয়ার মতো সেভেন সিস্টার্সের আরো কয়েকজন স্বাধীনতাকার্মী নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করে তাকে ওই চুক্তির মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। তবে ভারত হন্তান্তর করতে রাজী না হলে শেখ হাসিনার ইন্টারপোলের (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন) মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা যেতে পারে। ইন্টারপোল বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা। এই আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জরুরী সহায়তা এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে পলাতক, মানবাধিকার লংঘন, জননিরাপত্তা এবং অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুজিব হত্যামামলার সাজাপ্রাপ্ত মেজর (অব) বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলে আবেদন করলে ইন্টারপোল সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করবে। শেখ হাসিনার নাম বাংলাদেশি ‘ওয়ান্টেড পার্সন’ এর তালিকায় উঠবে। এরপরও ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হবে।

    নরেন্দ্র মোদী সরকার ইতোমধ্যেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ৫ আগস্ট হাসিনা পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার পর ৬ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে অধিক গুরুত্ব দেয়।’ এতোদিন ভারত কার্যত বাংলাদেশের জনগণের বদলে শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিত। এতে করে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধিতা প্রচল হয়ে উঠে। বাংলাদেশের জনগণের বদলে হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার নীতিকে ভারতের বুদ্ধিজীবীরাই ‘মোদীর ভুল কৌশল’ হিসেবে অবিহিত করেছেন। ভারতের সাবেক কূটনীতিক, বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলাভাবে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকা। আর এটা যে খুব স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যুগের সমাপ্তি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। হাসিনার বয়স ৭৬ বছর। আমি মনে করি না যে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করতে নির্বাসনে রয়েছেন। তার দেশে ফেরার চেস্টা বোকামি হবে’।

    প্রবাদে আছে প্রতিবেশি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয় পরিবর্তন করা যায় কিন্তু প্রতিবেশি পরিবর্তন করা যায় না। হিন্দুত্ববাদী ভারতের হাসিনার জামানার বাংলাদেশ ছাড়া প্রতিবেশি কোনো বন্ধু নেই। প্রতিবেশি সব দেশের সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্ক। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে এখন সুসম্পর্ক রাখতে হলে ভারতকে চাপ দিয়েই হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে হবে। না হলে ভারত কার্যত একঘরে হয়ে যাবে। ১০ বছর আগে ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদী ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়ায় দেশটি বন্ধুহীন হয়ে পড়ে। প্রতিবেশি দেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। এক সময় নেপালের হাটবাজারে কেনাকাটায় ভারতের রুপি ব্যবহার হতো। সেই নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করায় ভারত দেশটির ওপর ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ দেয়। অতপর নেপালের সাধারণ মানুষ ভারত-বিরোধী কঠোর অবস্থান নেয়। ২০২৩ সালে মালদ্বীপে ভারতপন্থী সরকারকে হঠিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন মোহামেদ মুইজ। তিনি প্রেসিডেন্টের শপথ নেয়ার পরই ‘ইন্ডিয়া আউট’ শ্লোগান তুলে ভারতীয় সৈন্যদের মালদ্বীপ ছাড়তে বাধ্য করেন। ভুটান সামরিক, অর্থনৈতিক, বৈদেশিক প্রায় সব ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সেই ভুটান এখন চীনের সঙ্গে আলাদাভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগী হয়েছে। শ্রীলংকা এখন তাদের বন্দর চীনকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে। মার্কিন সৈন্য চলে যাওয়ার পর তালেবানরা আফগানিস্তানের দায়িত্ব নতুন করে নেয়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বিতারিত করেছে। তালেবানের সঙ্গে ভারতের এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক হয়নি। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও তাদের ক্ষমতা হারানোর উপক্রম হয়েছে। আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে বিভিন্ন খাতে ভারতের শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন অনিশ্চয়তার মুখে। এই তালিকায় নতুন করে যোগ হচ্ছে বাংলাদেশ। সিকিমের লেন্দুপ দর্জির মতো নাচের পুতুল শেখ হাসিনাকে দিয়ে এতোদিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘ভারতের পায়ের তলায়’ নামিয়েছিল। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সেখান থেকে দেশকে তুলে আনতে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, ড. ইউনূস সঠিক বার্তাই দিয়েছেন ভারতকে। কারণ হাসিনার নতজানু নীতি দেশের সর্বনাশ করেছে। এখন ভারতকে ভয় দেখাতে হবে। ভয় পেলে ভারত তাদের আগ্রাসী নীতি পরিহার করতে বাধ্য হবে।

    শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানিয়ে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে বড় সিরিয়াল কিলার। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। নিরপেক্ষ বিচার হবে। বিচারের রায় যা হবে আমরা মেনে নেব। কিন্তু বিচার ছাড়া কেউ থাকতে পারবেন না। পৃথিবীর কোনো দেশ যেন তাকে আশ্রয় না দেয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

    সূত্রঃ ইনকিলাব

    আরও খবর

    Sponsered content