সিলেটে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ, আহত ২০

সিলেট মহানগরের চৌহাট্টায় গতকাল শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। প্রায় একঘণ্টা সংঘর্ষের পর ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান। এসময় বিক্ষোভস্থল থেকে একজন আটক হয়েছেন।

গতকাল বিকেল ৫টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকাল ৫টার দিকে আম্বরখানার দিক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বেশ কয়েকজন চৌহাট্টা পয়েন্টে এসেই পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় পয়েন্টে অবস্থানরত পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেই সাথে পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে শটগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেলে আন্দোলনকারীদের অনেকেই আহত হন। আন্দোলনকারী ও পথচারীরা দিগবিদিক ছুটতে থাকে। এরপর থেকে থেমে থেমে অর্ধঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নগরজুড়ে।

গতকাল পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। দুপুর ১টা থেকে নগরের চৌহাট্টায় জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টা থেকে প্রায় ৫টা পর্যন্ত চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এতে জিন্দাবাজার- চৌহাট্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এতে এসে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অনেক অভিভাবকও। কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ও নানা শ্লোগান দিচ্ছেন। দুপুর সাড়ে সাড়ে ৩টার দিকে আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি আসলেও তারা সড়ক ছাড়েননি। শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন। এসময় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর হাতে লাঠি-সোটা দেখা যায়। এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে।

বেলা ২টা থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এতে এসে যোগ দেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের তৈরী বঙ্গবন্ধু ছবি সম্বলিত ব্যানার- ফেস্টুন ভাঙ্গে আন্দোলনকারীরা। পরে তারা সেখানে বিভিন্ন শ্লোগান লিখে রাখেন। এক পর্যায়ে আন্দোলকারীদের সাথে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। এতে রণক্ষেত্র পরিণত হয় নগরীর চৌহাট্টা