স্টাফ রিপোর্টারঃ ১৯ আগস্ট ২০২৪ , ৫:১৮:৩৬ অনলাইন সংস্করণ
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যাকাণ্ডে এবার আদালতে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।
সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি এফআইআর মূলে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব।
দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান এ টি এম তুরাব হত্যাকাণ্ডে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তার ভাই আবুল আহসান মো: আজরফ (জাবুর)।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: সাদেক দস্তগীর কাউছার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে এসএমপির কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতয়ালী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি দে, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পিএস যুবলীগ নেতা সাজলু লস্কর, সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ (মো: রুহুল আমীন), পুলিশ কনস্টেবল সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বলের।
এর আগে, সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো: আজরফ (জাবুর) কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করে।
আদালতে মামলা দায়ের করে আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর) বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনকালে তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশের গুলিতে আহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এ টি এম তুরাব। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৯৮টি স্প্রিন্টার পাওয়া গেছে বলে জানান ওসমানী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম।