ভাটি বাংলা ডেস্কঃ ৩০ আগস্ট ২০২৪ , ৩:১১:১৯ অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটি করেন নগরীর হালিশহর এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মামুন আলী।
একই মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদসহ সুনির্দিষ্ট ২৫ জন এবং অজ্ঞাত ৪০০ জন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, বাদি মোহাম্মদ মামুন আলী ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট তার হালিশহরস্থ কে এ জি এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটার সময় হালিশহর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালায়। পুলিশ উপস্থিত নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে ও জন্মদিনের কেক এবং আগত নেতা-কর্মীদের আপ্যায়নের জন্য আনা খাবার তছনছ করে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বাদিসহ ১৭ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে হালিশহর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদেরকে থানার অভ্যন্তরে টর্চার সেলে নিয়ে বেদম প্রহার করা হয়। ওসির ফোন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কল করা হলে তিনি বাদিকে হুমকি দিয়ে বলেন, বাদি নাকি কেক না কেটে তার কলিজা কেটেছেন। এ অপরাধে তাকে হত্যা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। একইভাবে শেখ রেহানা ভিডিও কলে বাদিকে গালিগালাজ করে ক্রসফায়ারের হুমকি প্রদান করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালও ফোনে একই ধরনের আচরণ করেন। এসবের পর ওসি বাদির কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে এবং তা না হলে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি দেয়। পরদিন বাতির বাবা ওসির হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দেন।
মামলায় ওসি প্রণব ছাড়াও অপরাপর আসামিরা হলেন সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল বাহার, ডা. ফজল আমিনের ছেলে এরশাদুল আমিন, নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত, সাবেক এসআই জামাল উদ্দিন, মাহবুব মোরশেদ, হিমেল রায়, রেজাউল হোসাইন, জমির উদ্দিন, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, সোহেল রানা, এএসআই বাবুল মিয়া, জহিরুল ইসলাম ও শরীফ হাসান।
বাদির আরজি শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত-৪ এর বিচারক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হালিশহর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
সূত্র : বাসস