প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৪ , ৩:১৬:২৬ অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে হয়ে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন ১ হাজার ৯শ’৬৫ জন। এদের মধ্যে মোট নিগত হন ১৯১ জন।
এর মধ্যে অনেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। কেউ কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন। কেউবা আবার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষেই চলে গেছেন। ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের টিকিট কাউন্টার, ইসিজি বিভাগ ও মর্গের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হাসপাতালের নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, ৩ জন সাংবাদিক, ২৪ জন পুলিশ সদস্য, ৩ জন আনসার সদস্য, র্যাব সদস্য ২জন, বিজিবি ১ জন, শিক্ষার্থী ২৯ জন, ব্যবসায়ী ১৮ জন, চাকরিজীবি ১৩ জন, শ্রমিক ৯ জন, অজ্ঞাতনামা ৯ জন, কর্মচারী ২৪ জন, রিকসা ও ভ্যান চালক ৮জন, গাড়ি চালক ড্রাইভার ৪ জন, এবং অজ্ঞাত ৪৪জন ।
গত ১৭ জুলাই থেকে ৯ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী সহ আশেপাশের এলাকায় সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, শাহজাহান,সবুজ আলী, জাফর হাওলাদার, মেহেদী হাসান, নাজমুল,ওয়াসিম শেখ, আব্দুল্লাহ,পারভেজ,জিহাদ হাসান,নাইম হাওলাদার, ইব্রাহিম,আরিফ,রবিউল ইসলাম,শাহজামাল, মো. গিয়াসউদ্দিন, রাব্বী আলম পাভেল, শুভ,জুয়েল শেখ, নবীন তালুকদার,কামাল, মোবারক,রনি আলামিন, শাকিল,কবির, তাহির জামাল প্রিয়, মুক্তাদির, গনি শেখ, ওমর ফারুক, হাসান, আব্দুল ওয়াদুদ, মোবারক,টিটু,ওয়াসিম,ইফতি, সোহাগ,খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ, দুলাল,মাসুদ, রাকিব,আকরাম খান রাব্বী, আব্দুল্লাহ আল আবীর,আব্দুল আহাদ,আলী হোসেন,ইমাম হোসেনতাইম,মারুফ হোসেন, ইমন, মোশারফ, রাজিব হোসেন,শাহরিয়া বিন মতিন,সোহাগ,জাকির হোসেন, আহাদুল, মেহেদী, হোসাইন,জিসান, আরিফ,ইউসুফ মিয়া,কামরুল ইসলাম, হান্নান, তৌফিদুল ইসলাম,ইউনুস আলী, হাবিব, শাকিল, ইমরান,আব্দুল লতিফ, মনির হোসেন,রাজ,আজিজুল মিয়া, রাসেল, গনি মিয়া,অজ্ঞাত,ইমরান, অজ্ঞাত, মনির হোসেন,অজ্ঞাত, শরীফ,অজ্ঞাত,শান্ত,হৃদয় চন্দ্র তরুয়,নাসির হোসেন, শাহজাহান,রিয়া গোপ (৬),সাজিদুর রহমান,জাকির হোসেন, জামান,সোহেল মিয়া, ইমতিয়াজ,মাইনুদ্দিন,ইয়ামিন চৌধুরী, আবদুর রহমান,ইমন,আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী,মোঃ তাহিদুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন, রিয়াজুদ্দৌলা, রেজাউল তালুকদার, মোঃ সবুজ, রাসেল, ইমরান ,আব্দুর রহমান,মানিক মিয়া, রাকিব হোসেন,আজমত আলী, ইসহাক, রাসেল, ইমরান,আব্দুর রহমান,মানিক মিয়া, রাকিব হোসেন, আজমত আলী, আবু ইসহাক, সাইফুল ইসলাম ওমর ,াকিল, শাহীন ,ইয়াসিন সোহেল, আব্দুল নুর, ইসমাইল রাব্বি, রনি, যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত। হামিদুর রহমান, শাওন, আবু রায়হান, আব্দুল হান্নান, মনোয়ার,মাহফুজুর রহমান, আশরাফুল হাওলাদার বয়স, হাফেজ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আনোয়ার হোসেন, রাব্বি, আব্দুল আলিম বয়স ৪৬ রাসেল মাহমুদ মনির, রাসেল, হাসিব,সুলতান (পুলিশ) ,র্যাব সদস্য হাসমত আলী, নুর আলম, র্যাব সদস্য আনোয়ার, বিজিবি সদস্য মোঃ আব্দুল আলিম,সঞ্জয় কুমার দাস, শাওন, রুবেল পুলিশ সদস্য, মনির, বাপ্পি আহম্মেদ, পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ। পুলিশ সদস্য সুজন চন্দ্র দে, পুলিশ সদস্য ফিরোজ হোসেন, পুলিশ সদস্য আবু হাসনাত রনি, পুলিশ সদস্য খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, পুলিশ সদস্য শাহিদুল আলম,পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম,আনসার সদস্য আবু জাফর ছাড়াও বাকিরা বিভিন্ন বয়সের অজ্ঞাত ব্যক্তি।
কর্মচারীরা জানান, এছাড়াও নিহতদের হাসপাতালের খাতায় লিপিবদ্ধ না করে অনেকেই আবার লাশ নিয়ে চলে যান। যা হাসপাতালের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি। এমনকি আহতদের মধ্যেও সেম ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বৈষ ম্বিরোধী আন্দোলনে আশেপাশের এলাকা থেকে অনেককেই গুলিবিদ্ধ হলে তাদের অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।