ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ২৪ আগস্ট ২০২৪ , ৫:০৬:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
এক অকল্পনীয় অবিস্মরণীয় দিন ৫ আগস্ট ২০২৪। এই দিনে বাংলাদেশে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। ছাত্রজনতার উত্তাল তরঙ্গমালা পতন ঘটায় দক্ষিণ এশিয়ার লৌহ মানবীখ্যাত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১ বছরের রাজত্ব। একটানা ১৫ বছরের অধিককাল দোর্দ- প্রতাপে ক্ষমতাচর্চার পর শেখ হাসিনা এইদিন চোখের পলকে পালিয়ে যান ভারতে।
২১ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনকাল ছিল অপ্রতিরোধ্য। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি একদিন শেখ হাসিনার পতন হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার মসনদ ছাড়বে। প্রশাসনযন্ত্র থেকে নিয়ে পার্লামেন্ট, বিচার ব্যবস্থা, সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও মিডিয়াজগত হাতের মুঠোয় নিয়ে সবখানে নিজস্ব লোক বসিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। সর্বত্র দমবন্ধ অবস্থা। লোকেরা ফোনে কথা বলতেও ভয় পেত, কল রেকর্ড হচ্ছে কিনা এবং তার প্রায়শ্চিত্ত গুণতে হবে কিনা। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে এতিমখানার টাকা চুরির অভিযোগে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ করে রাখা হয়। বাংলাদেশের সবচে শক্তিশালী ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ছিল খালেদা জিয়ার চার দলীয় জোট সরকারের অংশীদার। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের থিওরি দিয়ে খালেদা জিয়াকে ছেড়ে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেয়। এর ফলে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু শেখ হাসিনা জামায়াতের এই অবদানকে অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়নি; জামায়াতকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে বিচারের নামে প্রহসনের সম্মুখীন করে এবং জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলান কিংবা জেলখানায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন।
সবার মনে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছিল, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা জমিনের বুকে কারো নাই। শেখ হাসিনার আদর্শিক শক্তি ছিল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই সূত্রে স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সামরিক অফিসারের বিদ্রোহের ফলে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আওয়ামী লীগের শক্তিমত্তার ভরকেন্দ্র ছিল বিরাট শক্তিশালী প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সহায়তা করেছে একথা যেমন সত্য; বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত সবসময় আওয়ামী লীগকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে এ কথাও নিদারুণ সত্য। এত আয়োজন থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার বা শেখ হাসিনার এমন করুণ বিদায় কল্পনাকেও হার মানায়।
এখন একটি নতুন তত্ত্ব হাজির করে বলা হচ্ছে আমেরিকা ষড়যন্ত্র করে এই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। ভারতের গোপন আস্তানা থেকে শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিনের কর্তৃত্ব এবং গভীর সমুদ্র বন্দর করার সুযোগ দিতে রাজি না হওয়ায় আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এই তত্ত্ব হাজির করে তিনি একদিকে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন, অন্যদিকে তার সরকারের অবর্ণনীয় জুলুম নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় গণবিস্ফোরণের সত্যটি গোপন করে দলীয় লোকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশ করার জন্য এটা শেখ হাসিনার মিথ্যাচার ও কৌশল।
মার্কিন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত নয়, বরং ছাত্রসমাজের ডাকে সমগ্র জাতি গণবিস্ফোরণে ফেটে পড়েছে, শেখ হাসিনার জগদ্দল পাথর থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। নতুন প্রজন্ম ১৯৭৪, ১৯৭৫ সালের ইতিহাস জীবন্তভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছে। ৫ আগস্ট ২৪ দুপুরে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার রাজপথে জনতার যে ঢল ও উল্লাস তার সাথে তুলনা করার কোনো উপমা খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজপথ ছিল সর্বস্তরের মানুষের আনন্দ মিছিলে লোকে লোকারণ্য, তরঙ্গায়িত। সবার মুখে মুখে এক কথা, দেশ আবার স্বাধীন হয়েছে। জনতার বিজয় উৎসবে শামিল হয়ে মনে হয়েছে, আজকের দৃশ্যটি না দেখলে জীবনে বিরাট অপূর্ণতা থেকে যেত। মুক্তির এই মিছিল ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফসল। এর পেছনে ইন্ধনদাতা আমেরিকা বা কোনো দল, দেশ ছিল না। হ্যাঁ, ইন্ধনদাতা যদি কেউ থাকে, তিনি শেখ হাসিনা। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে শেখ হাসিনার বিষাক্ত জিহ্বাই তাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামিয়েছে এবং ইতিহাসের আস্তাকুড় ইন্ডিয়ায় নিক্ষেপ করেছে। অহংকার দম্ভ ও জুলুম আল্লাহ সহেন না, আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না, এই আপ্তবাক্যগুলো যে অকাট্য সত্য তা শেখ হাসিনার ফেরাউনী রাজত্বের অবসানে আবার প্রমাণিত হয়েছে।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পতনের পেছনে আমেরিকার ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে শেখ হাসিনা যে দাবি করেছেন তা যে মিথ্যার বেসাতি, তার প্রমাণ ছাত্রদের আন্দোলনের শুরুতে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না বা তারা সরকার পতনের ডাক দেয়নি। শেখ হাসিনাই চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের মতো একটি ছোট্ট দাবিকে দমাতে গিয়ে একের পর এক ভুল করে নিজের পতন ঘটিয়েছেন। মওলানা রূমী (রহ.) বলেছেন, আসমানের ফয়সালা যখন এসে যায়, তখন চোখ থাকতে অন্ধ, জ্ঞানী বুদ্ধিমানও আহম্মক হয়ে যায়। এবারের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে, জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় অর্থচুরি, বিশেষ করে আয়নাঘরের পাপের বোঝাই আসমানী অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। সরকারি চাকরির ৩০% মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ৫% উপজাতি ১০% নারী, ১০% জেলা আর ১% প্রতিবন্ধীর নামে মোট ৫৬% সরকারি চাকরি পকেটে নিয়েছিল। ছাত্রদের কথা ছিল, সরকারি চাকরির ৫৬% ভাগ কোটা ব্যবস্থার দখলে চলে গেলে বাকী মাত্র ৪৪% নিয়ে মেধাবী ছাত্ররা বঞ্চিত হবে, দেশ পরিচালনার ভার মেধাহীনদের কাঁধে গিয়ে পড়বে, দেশ পিছিয়ে যাবে আর স্বার্থ শিকারীদের জয়জয়কার হবে।
সরকারি কর্মচারীরা, এমনকি আর্মির লোকজনও দেখেলেন যে, তাদের মেধাবী সন্তানরাও বঞ্চনার শিকার হবে। তাই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও শুরুতে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানো হয় বলে জানা যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের অবস্থান বদলায়। তারা উল্টা পুলিশের চেয়েও বিভৎস চেহারায় আন্দোলনরত ছাত্রদের নির্যাতন ও হত্যার জন্য অতিউৎসাহী হয়ে পড়ে।
ছাত্ররা সরকারের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহার জন্য বারবার প্রস্তাব দিল। তারা আদালতেরও শরণাপন্ন হলো। কিন্তু নেত্রী অনড়। তিনি আলোচনার পরিবর্তে রাস্তায় লাশ ফেলার পলিসি নিলেন। কাদের সাহেব, কামাল সাহেব নেত্রীকে হাততালি দিলেন। আদালতও রায় দিল কোটা বহল থাকবে। ধীরে ধীরে আন্দোলন ঢাকার বাইরে চলে গেল। লীগের ক্যাডারদের তান্ডব, পুলিশের গুলি আর নেত্রীর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য আন্দোলনকে বেগবান করল। এ পর্যায়ে ক্ষমতাসীনরা আন্দোলন থামানোর জন্য দুটি কৌশল প্রয়োগ করল। হঠাৎ রাতের অধারে গণপরিবহনের ডিপু, মেট্রো রেল, রামপুরার টিভি স্টেশন ও ইন্টারনেট কেবল স্টেশন প্রভৃতি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনায় ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটল। সরকার বয়ান দিল, জামায়াত-শিবির-বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়ে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। লক্ষ্য, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা, ছাত্রজনতার উপর জোর জুলুম ও হত্যাকা-কে বৈধতা দেয়া। মনে করল, ইন্টারনেট বন্ধ করলে আন্দোলন থেমে যাবে। দলন-দমনের ক্ষতচিহ্ন মিডয়ায় প্রকাশ পাবে না। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে গেল। জনগণ বুঝল, সরকার ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের চেষ্টা করেছে’।
শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পেছনে আগাগোড়া কৃতিত্ব ছাত্রনেতৃত্বের। কারণ, আন্দোলনের শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যায় পর্যন্ত চেনাজানা রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামেনি। কেউ কেউ পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন। জাতির বিবেক বলে দাবিদার কতিপয় সাংবাদিক নেতাকেও দেখা গেছে হালওয়া-রুটির নেশায় বিবেক বন্ধক দিয়েছিলেন। সরকারের দমননীতির পক্ষে ওকালতি করেছেন। তবে শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের অনেক সাহসী কলাকুশলি, বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ বুদ্ধিজীবী, যাদের এতদিন আওয়ামী ঘরানার মনে করা হতো, তাদের অনেকে মাঠে নেমেছিলেন। চরমোনাইর পীর ছাহেবের লোকজন ছাড়া ইসলামী ঘরণার কোনো দল বা মহল মাঠে নেমেছিলেন কিনা জানার সুযোগ আমাদের হয়নি। শেষ দিকে প্রাক্তন সামরিক অফিসাররা ছাত্রদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ নির্বিচার গুলির প্রতিবাদে মিছিল করলে এ বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
দৃশ্যমান এই নেতৃত্ব শূন্যতা সত্ত্বেও ছাত্রনেতা সমন্বয়কদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ, বক্তৃতা বিবৃতি ও ঘোষণায় শব্দচয়ন ছিল সুচিন্তিত, যথাযথ ও বিচক্ষণতাপূর্ণ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এই বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, নির্লোভ নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য রাজনীতি বিজ্ঞানের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হবে একদিন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের অসম্ভব দূরদর্শিতা বলতে হবে, তারা যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রের হাল ধরার দায়িত্ব দিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস না হলে হাসিনা-উত্তর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেয়া আর কারো পক্ষে সম্ভব হতো কিনা আমরা চিন্তা করতে পারছি না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শেষ ভরসা ছিল ভারত। জনগণের আশঙ্কাও ছিল এখানে। আওয়ামী লীগের যেসব নেতা এতকাল জোর জুলুমের স্টিম রোলার চালিয়েছে, যাদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীও ছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রচ- ক্ষোভ আর ঘৃণা জমাট হয়ে রয়েছিল জনমনে। শেখ হাসিনার পলায়নে সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়, তাতে জ্বালাও-পোড়াও হয়, হিন্দু আওয়ামী লীগ নেতারাও কোথাও কোথাও আক্রান্ত হন। হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছুলোক সে ঘটনাগুলোকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ বলে প্রপাগান্ডা শুরু করেন, প্রতিবাদের নামে বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতকে আক্রমণাত্মক ভূমিকার জন্য ডেকে আনা।
এ ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিরাজিত একটি সৌন্দর্যের প্রদর্শনী হলো। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তিপূজা শিরক, অমার্জনীয় পাপ, অপরাধ। ইসলাম এসেছে শিরক ও মূর্তিপূজার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য। কিন্তু দেশবাসী পরিস্থিতির স্পর্শকাতরতা উপলব্ধি করলেন। মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মুসল্লি ও ইসলামী দলগুলোর সাথে জড়িত লোকেরা রাত জেগে হিন্দুদের মন্দির পাহারায় নিয়োজিত হলেন। উদ্দেশ্য, মন্দিরে গীর্জায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে ভারতীয় আগ্রাসনের অজুহাত খাড়া করতে না পারে। প্র্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দু’ একটি কথায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উস্কানি তৈরির কৌশল সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে যায়, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন। হিন্দু নেতাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তিনি বললেন, আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবছেন কেন। এখানে তো আইন আদালত সবার জন্য এক ও সমান। হিন্দুদের জন্য তো আলাদা আইন বা আদালত নেই। কোথাও আক্রান্ত হলে বাংলাদেশি হিসেবেই প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যিনি মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে ভারতে মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছেন, তাকে তিনি ফোনে বললেন, আপনারা বাংলাদেশে আসেন অথবা লোক পাঠান, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রকৃত অবস্থা দেখে যান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কয়টি কথায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি, উত্তেজনা, গৃহযুদ্ধ ও ভারতীয় হস্তক্ষেপের গভীর নীল নকশা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। বস্তুত ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কয়দিনে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন বা কথাবার্তা বলেছেন তাতে তিনি জাতির প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলেই আশা করতে পারি।
লেখক: ইসলামী চিন্তাবিদ।