ভাটি বাংলা ডেস্কঃ ৩০ আগস্ট ২০২৪ , ১:৫১:১৪ অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বে ক্রিপ্টো মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। বহুল পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ক্রিপ্টো ধনীদের সংখ্যা বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
মূলত বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো পরিসম্পদের মূল্য বাড়ায় ব্লকচেইনভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রার মালিকদের সংখ্যা বাড়ছে।
সম্প্রতি নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ এবং হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর ৮৮ হাজার ২০০ জন ব্যক্তি ১০ লাখ ডলারের বেশি ক্রিপ্টো পরিসম্পদের মালিক ছিলেন। চলতি বছর তা বেড়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে শুধু বিটকয়েন মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৮৫ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। সব স্তরে বেড়েছে ক্রিপ্টো ধনীদের সংখ্যা। প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে ১০ কোটি ডলারের বেশি ক্রিপ্টো সম্পদধারী ৩২৫ জন এবং ক্রিপ্টো বিলিয়নেয়ার আছেন ২৮ জন। ক্রিপ্টো ইটিএফের মূল্যবৃদ্ধি ক্রিপ্টো ধনীদের সংখ্যা বাড়ার পেছনের ভূমিকা রেখেছে। জানুয়ারিতে বিটকয়েন ইটিএফ চালু হওয়ার পর দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বর্তমানে এতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিসম্পদ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
ইটিএফের সাফল্যের কারণে বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে তাদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স জানিয়েছে, বিটকয়েনের দাম চলতি বছর ৪৫ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৬৪ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।
একই সময়ে অন্য কয়েনগুলোর দাম বাড়ায় ক্রিপ্টো পরিসম্পদের বাজারমূল্য বেড়ে ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। গত গ্রীষ্মকালেও বাজারমূল্য ছিল ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের গবেষণা প্রধান অ্যান্ড্রু আমোইলস জানান, ‘গত বছর ক্রিপ্টো বিলিয়নেয়ারের তালিকায় নতুন ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের উঠে আসার পেছনে বিটকয়েনের দাম বাড়ার ভূমিকা ছিল।
এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিটকয়েনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরে।’ এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে ক্রিপ্টো সম্পদের বাজারমূল্য ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর মার্কেটে ধস নামে। এখনো অনেক ক্রিপ্টো পরিসম্পদের মূল্য ২০২১ সালের সর্বোচ্চ স্তরের নিচে রয়েছে।
শুধু বিটকয়েনের দাম বেড়ে তিন বছর আগের স্তরে পৌঁছেছে। তবে ক্রিপ্টো নিয়ে ব্ল্যাকরক ও ফিডেলিটির মতো বড় সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এতে সহায়তা করছে ব্রোকার নেটওয়ার্ক মরগান স্ট্যানলিও। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্রিপ্টোর মালিকরা আরো বেশি সম্পদ অর্জনের সুযোগ পেতে পারেন। সিএনবিসি।