ভাটি বাংলা ডেস্ক: ২৫ আগস্ট ২০২৪ , ২:২৪:৪০ অনলাইন সংস্করণ
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই সারা দেশে চলছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রঙতুলির আঁচড়ে দেয়াল লিখন। রঙ-বেরঙের মনোরম দৃষ্টিনন্দন চিত্রে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি পথিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এসব লিখন।
এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী সুসংদুর্গাপুরে বৈষম্যবিরোধী তরুণ আলেমদের দেয়ালে লিখিত হয় এক অনন্য আরবি ক্যালিগ্রাফি, যা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
সেখানে মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জামিউল উলুম মাদরাসা এবং অডিটোরিয়ামসহ বিভিন্ন দেয়ালে এখন শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের প্রতিবাদী সে্লাগান ও আরবি ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের নানা ধরনের চিত্র। এ
সব লেখা ও ক্যালিগ্রাফি অঙ্কন করেছেন তরুণ আলেমরা ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
এসব চিত্রের মাধ্যমে আরো ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে পরাধীনতার নাকপাম ছিন্ন করে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলার নতুন স্বাধীনতা ও তিতুমীরের সেই বাঁশের কেল্লা। বাদ যায়নি আবরার ফাহাদ ও পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া আবু সাঈদের প্রতিচ্ছবিও।
প্রকৃত অর্থে তরুণ শিক্ষার্থীদের এমন সুন্দর চিত্রাঙ্কন ও ক্যালিগ্রাফিতে বদলে গেছে সুসংদুর্গাপুরের দৃশ্যপট। ব্যতিক্রমধর্মী এমন দেয়াল লিখন দেখে অনেকেই আনন্দে উদ্বেলিত। এ কারুণে তরুণ আলেমদের সমর্থন ও সহযোগীর জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
ব্যতিক্রমধর্মী এমন উদ্যোগে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মুফতি ইসলাম মাহমুদ বলেন, যুগে যুগে ক্ষমতালোভী পথভ্রষ্ট অহঙ্কারী স্বৈরাচারীদের পতন এমন ন্যক্কারজনকভাবেই হয়ে থাকে। ফেরাউন, নমরুদ থেকে শুরু করে হাল আমলের লেডি ফেরাউন শেখ হাসিনা ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। জালিমের মারণাস্ত্রের সামনে এ দেশের ছাত্র-জনতা কখনো মাথা নত করেনি, কোনো দিন করবেও না। মহাবীর আবু সাঈদ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন জালিমেরা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন সময়ের ব্যবধানে পতন তাদের অনিবার্য।
হাফেজ মোবাশ্বির হাসান বায়জিদ বলেন, এ দেশে স্বাধীনতার নতুন সূর্যের উদয় হয়েছে। এবার আমাদেরকে মন প্রাণ উজাড় করে দেশ সংস্কারের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এই নতুন প্রজন্ম যেন জানতে পারে, ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন কতবড় ঐক্যের প্রতিফলন। বাংলার মাটিতে আর যেন কোনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের জন্ম না হয়। সে কারণেই আমাদের এই দেয়াল লিখনে আরবি ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধকে তুলে ধরা।