ডেস্ক রিপোর্ট: ১১ আগস্ট ২০২৪ , ৭:৩৭:০৩ অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, হিন্দুনের নিয়ে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তারা রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দুদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
রবিবার টঙ্গীর আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ হাসান উদ্দিন সরকারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি’ এবং ‘সংখ্যালঘু’ ইত্যাদি শব্দ আওয়ামী লীগের আবিষ্কার। তারা রাজনৈতিক স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করার হীন উদ্দেশেই এসব শব্দ প্রয়োগ করে থাকে। তিনি বলেন, আমরা হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কখনই সংখ্যালঘু মনে করি না। আমরা ভেদাভেদে বিশ্বাসী না। আমরা মনে করি, আমরা একই জাতি এবং পরস্পর ভাই ভাই, আমাদের কাছে সংখ্যাধিক্য বা সংখ্যলঘুর কোন গুরুত্ব নাই। স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ডের অধিবাসী হিসেবে আমাদের সকলের সমান অধিকার। তিনি বলেন, এদেশে হিন্দুরা কখনই সংখ্যালঘু ছিল না, এখনও নয়। এদেশে প্রকৃত অর্থেই যারা সংখ্যালঘু তাদের কোন সমস্যা নেই, তারা স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করছেন। তাদেরকে নিয়ে কেউ কথাও বলেন না। শুধুমাত্র হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ট প্রতিবেশী দেশকে কাছে পেতে আওয়ামী লীগ বরাবরই হিন্দু ইস্যুকে সামনে টেনে আনার চেষ্টা করে।
হাসান সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়ই হিন্দুদেরকে ষড়যন্ত্রের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ক্ষমতা হারিয়ে তারা এখন পরিকল্পিতভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি এব্যাপারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রায়মোহন সরকার, লক্ষন চন্দ্র দাস, সুনীল চন্দ্র সরকার, লিটর চন্দ্র সরকার, রমেশ চন্দ্র সরকার, অনীল চন্দ্র সরকার, শ্রী প্রেমা চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
রায়মহন সরকার বলেন, হাসান উদ্দিন সরকার সব সময়ই আমাদের পাশে ছিলেন। এমনকি বিগত ১৫ বছর যখন আওয়ামী লীগের কেউ আমাদের খবর নেয়নি তখনও হাসান সরকার আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ক্ষমতার পালাবদলে কখনই তাদের কোন সমস্যা হয় না বলেও দাবি করেন।