• গ্রেফতার/আটক

    দিরাইয়ে ৩ বীমা কর্মকর্তা জেল হাজতে

      ডেস্ক রিপোর্টঃ ৪ জুলাই ২০২৪ , ৪:১২:৩৮ অনলাইন সংস্করণ

    পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির দিরাই শাখার ইনচার্জ জামাল হোসেন ও ম্যানেজার গোপেশ পাল। – ছবি : নয়া দিগন্ত

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রতারণার মামলায় নারীসহ তিন বীমা কর্মকর্তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় দেন।

    তারা হলেন জীবন বীমা নামে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির দিরাই শাখার ইনচার্জ মো: জামাল হোসেন। আর অন্যরা হলেন ইনচার্জ জামাল হোসেনের বোন বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা মোছা: হাজেরা বেগম ও ম্যানেজার গোপেশ পাল।

    সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম ইসরাত জাহান জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

    জানা যায়, আইনজীবী নিজেই বীমা কোম্পানির প্রতারণার শিকার হয়ে মামলা করেন আদালতে। তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে রুজু করার আদেশ দিলে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। সেই মামলায় জামিন চাইলে আদালত নামঞ্জুর করে ভাই বোনসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রতারণা মামলায় রায় দেয়া হয়। গত ৬ জুন কোম্পানির ইনচার্জ মো: জামাল হোসেনসহ এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান চৌধুরী। পরে ১৩ জুন সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে দিরাই থানায় ৪০৬-৪২০ ধারা পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিরাই থানার এসআই অনুজ কুমার দাস। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ১২ বছর মেয়াদী একটি এফডিআরের জন্য এক কালীন নগদ এক লাখ টাকা জমা দেন গ্রাহক। শাখা ইনচার্জ মো: জামাল হোসেন স্বাক্ষর ও সীল দেয়া একটি রসিদ দিয়ে গ্রাহকের নামে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানি থেকে ফাইল তৈরি হয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রায় এক বছর পর, এককালীন মোট এক লাখ টাকার বিপরীতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে এক লাখ এক হাজার ৩৩৭ টাকা জমা করা ফাইল (টাকা জমা দেয়ার বই) প্রদান করে বীমা কর্মকর্তা।

     

    ভুয়া কাগজ এবং স্বাক্ষর জাল করে ফাইল প্রদান করায় গ্রাহক অ্যাডভোকেট ওয়ায়দুর রহমান চৌধুরীর সন্দেহ হলে তিনি তাদের সাথে ওই বিষয়গুলো নিয়ে বসতে চাইলে বীমা কোম্পানির কর্মকর্তারা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহক সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content