• সিলেট

    বিশ্বনাথে বন্যাঃ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

    টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে

      স্টাফ রিপোর্টার; ১৯ জুন ২০২৪ , ৩:১৯:০৯ অনলাইন সংস্করণ

    গেল তিনদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিশ্বনাথে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

     

    ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন অর্ধশতাধিক পরিবার। এছাড়াও বতসভিটায় বন্যার পানি ওঠায় পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এদিক ওদিক ছুটছেন মানুষ। ইতিমধ্যে একের পর এক ডুবেছে বিভিন্ন এলাকার একাধিক সড়ক। জলনিমগ্ন এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন জনসাধারণ।

     

    সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়েছেন উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চী, দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নের মানুষ। লামাকাজি ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় নদীর পানি তীর ডিঙিয়ে প্রবল বেগে প্রবেশ করছে এ দুই এলাকায়। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়। ডুবেছে পথ-ঘাট। ডুবন্ত পথে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় যানবাহন।

     

    দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের একাধিক ঘরবাড়ি ও পথঘাটও জলনিমগ্ন। সদর ইউনিয়নের বাইপাস সড়কও ডুবেছে বানের জলে। এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে প্রত্যেক ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। ভেসে গেছে অকের মৎস্য খামার ও বসত বাড়ির পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে আমনের বীতলা, ফল-ফসল ও সবজি ক্ষেত।

    মঙ্গলবার (১৮ জুন) বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। এসময় তিনি পানিবন্দি মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন।

    এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তার জানান,বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। ইতিমধ্যে একাধিক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ অবস্থান নিয়েছেন। বন্যার্তদের মাঝে অব্যাহত আছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।

    আরও খবর

    Sponsered content