স্টাফ রিপোর্টার; ২০ জুন ২০২৪ , ৪:০৫:২৭ অনলাইন সংস্করণ
গাজায় ধারাবাহিক নির্বিচার হামলার মাধ্যমে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ক্রমাগত যুদ্ধ আইনের মৌলিক নীতিগুলো লঙ্ঘন করছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
বুধবার (১৯ জুন) জেনেভায় জাতিসঙ্ঘমানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশন চলাকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে গাজার আবাসিক ভবন, একটি স্কুল, শরণার্থী শিবির এবং একটি বাজারকে লক্ষ্য করে ৬টি উল্লেখযোগ্য হামলার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এসব হামলায় জিবিইউ-৩১, জিবিইউ-৩২ এবং জিবিইউ-৩৯ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জিবিইউ-৩১, ৩২ এবং ৩৯ বোমাগুলোর বেশিরভাগই কংক্রিট ভেদ করে উচুঁ ভবন পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো কতটা ঘনবসতিপূর্ণ ছিল সে থেকে বোঝা যায়, বিস্তৃত এলাকায় প্রভাব ফেলার মতো এই বিস্ফোরকের ব্যবহারে ওই অঞ্চলের অবস্থা নির্বিচার হামলার শিকার হওয়ার শামিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই হামলায় বিপুল পরিমাণে বেসামরিক প্রাণহানি এবং বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে যা যুদ্ধের আইনের অধীনে আক্রমণের ধরন, আনুপাতিক হার এবং সতর্কতার নীতির ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন,‘বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বা কমপক্ষে প্রতিটি মাত্রায় কমিয়ে রাখতে যুদ্ধের যেসব প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি রয়েছে ইসরায়েলের বোমা হামলায় সেসব ধারাবাহিকভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে বিস্তৃত বা পদ্ধতিগত আক্রমণের অংশ হিসেবে বেআইনি লক্ষ্যবস্তুতে বা বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা করলে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের তালিকাভুক্ত হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে চালানো হামলায় ইসরাইলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এত বিস্ফোরকের ব্যবহার বুঝিয়ে দেয় তারা বেসামরিক ও যোদ্ধাদের মধ্যে কার্যকরভাবে কোনো পার্থক্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
প্রতিবেদনটিতে মূলত ইসরাইলেরও কথা তুলে ধরা হলেও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে থেকে ইসরাইলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে না সেটিও কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি