• সুনামগঞ্জ

    জামালগঞ্জে স্ত্রীর প্রতারণার বিরুদ্ধে স্বামীর অভিযোগ

      স্টাফ রিপোর্টার ২৭ মে ২০২৪ , ৯:২৪:৪১ অনলাইন সংস্করণ

    প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ঘর সংসার, পরবর্তিতে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে তার অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা করে পুনরায় প্রথম স্বামীর সাথে পুনঃ বিবাহ পূর্বক ঘর সংসার। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে গত ২৩ মে প্রতিকার চেয়ে এমনই এক অভিযোগ করেছেন উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ছেলাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর পুত্র ছুরত আলী। লিখিত অভিযোগে ছুরত আলী উল্লেখ করেন, একই গ্রামের মৃত নাইম মিয়ার পুত্র আবু মিয়া ছিলেন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তাসলিমা বেগমের প্রথম স্বামী। প্রথম স্বামীর সংসারে থাকাকালীন স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় উক্ত মহিলা আবু মিয়াকে তালাক দিয়ে বিগত ২০/১১/২০২১ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়্যাহ মোতাবেক তার সাথে (ছুরত মিয়া) পুনঃ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহ নং-২৯৮/২০২১ইং। এরপর প্রায় দেড় বছর সংসার করার পর ছুরত মিয়াকে তালাক দিয়ে ঐ মহিলা পিত্রালয়ে চলে যান। পরবর্তিতে স্বীয় ভুল বুঝতে পেরে বিগত ২১/১১/২০২৩ইং তারিখে নোটারী পাবলিক, সুনামগঞ্জ-এ ঐ মহিলা ছুরত আলীকে দেওয়া তালাক প্রত্যাহার করেন। যার সিরিয়াল নং-২৬৫, তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ইং। এরপর ০৩/১২/২০২৪ ইং নোটারী পাবলিক, সুনামগঞ্জ-এ অপর এক অঙ্গীকার নামায় ছুরত আলীকে আর কখনও ছেড়ে যাবেন না এই মর্মে এক অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন। যার সিরিয়াল নং-৪৪, তারিখ : ০৩/০১/২০২৪ ইং। এমতাবস্থায় ছুরত আলী স্ত্রী তাসলিমা বেগমের অসহায়ত্ব বিবেচনা করে পুনরায় তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন। ছুরত আলী তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর পুত্র খরছু মিয়াকে বিদেশে পাঠাতে এক পর্যায়ে ৪লাখ ৫০হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এই টাকা ফেরত পেতে তাগিদ দেওয়ায় তার স্ত্রী পুনরায় তাকে কিছু না জানিয়ে পুনঃ তালাক দিয়ে পূর্বের স্বামী আবু মিয়ার কাছে চলে যান এবং পুনঃ বিবাহ করেন। এরপর পুনরায় পাওনা টাকার তাগিদ দিলে ছুরত মিয়া তার বিবাদী তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী-পক্ষ থেকে তিন লাখ ৫০হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটপাট এবং হামলার শিকার হোন। এনিয়ে ছুরত আলী গ্রাম্য সালীশের আশ্রয় নিলেও আবু মিয়ার পক্ষ এতে সাড়া দেন নি। এব্যাপারে অভিযোগকারী ছুরত আলীর প্রাক্তন স্ত্রীর বর্তমান স্বামী আবু মিয়ার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, যাচাই করে দেখুন এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার উপর তার আরো তিনটি মামলা আছে। এবিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকীন নুর বলেন, এটা পারিবারিক আদালতের বিষয়, ওখান থেকেই সমাধান হবে। আমি একটা মিটিংএ আছি। আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

    আরও খবর

    Sponsered content