• ইসলামি জীবন

    ইফতারে খেজুরের গুরুত্ব

      প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৪ , ৩:২৫:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    ইফতারে খেজুর না থাকলে ইফতারির টেবিলে যেন পূর্ণতা আসে না। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।
    ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংকসমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। রোজার সময় ইফতারে খেজুর রাখা ভালো। পবিত্র রমজান এলে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। রোজাদাররা খেজুর দিয়ে ইফতার করতে পছন্দ করেন। পৃথিবীতে দুই শতাধিক খেজুরের জাত রয়েছে। মরু অঞ্চলেই খেজুর বেশি উৎপাদিত হয়।
    সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ফল খেজুর। আরবরা প্রধানত খেজুর ও আরবি কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। রমজানে ইফতারের প্রধান উপকরণ খেজুর। খেজুরের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, আকৃতি ও রং; এর মিষ্টতায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য।
    খেজুরকে আরবরা এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো তাঁরা বিশ্বাস করেন, খেজুর দিয়েই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইফতার করতেন। এর ফলে রমজান মাসে খেজুর খাওয়া মুসলিম ঐতিহ্য। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত হিসেবে বিশ্বব্যাপী রোজাদাররা এটি পালন করেন।

    অভিজাত শ্রেণির খেজুরের মধ্যে মেডজুল, আজওয়া, মরিয়ম—এগুলোর রং উজ্জ্বল বাদামি, প্রায় দেড় ইঞ্চির মতো লম্বা, স্বাদ খুবই মিষ্টি। মরিয়ম বা কালমি মরিয়ম খেজুর একটু গাঢ় বাদামি, প্রায় কালচে রঙের। দেখতে খানিকটা ডিম্বাকৃতির। একটু হালকা বাদামি রঙের সুফরি মরিয়ম।

    ১. আজওয়া খেজুর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এটি মদিনায় বেশি উৎপাদিত হয়। আজওয়া এর স্থানীয় নাম ‘পবিত্র খেজুর’। কালো বা গাঢ় বাদামি রঙের এই খেজুরের রয়েছে স্বতন্ত্র স্বাদ ও আবেদন। এটি কিছুটা মিষ্টি এবং ভিটামিনে ভরপুর। জামের মতো কালো রঙের আবরণে মোড়ানো ছোট আকারের এই খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। অনেক জটিল রোগের প্রতিষেধক রয়েছে মর্মে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

    মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৪৪৫)

    ২. খালাস সৌদি আরবের অভিজাত জাতের খেজুর। এটি গাঢ় বাদামি, মিষ্টি গন্ধযুক্ত ডিম্বাকৃতির একটি খেজুর। খালাস খেজুর সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের খেজুর। আরবের সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রায়ই খালাস খেজুর খেতে দেওয়া হয়।

    ৩. মিষ্টি মিছরির স্বাদ সুকারি খেজুরের। খুব বেশি মিষ্টি হওয়ায় একে সুকারি বলা হয়। এটি আঁশজাতীয় খাবারের বড় উৎস। খেজুরের এই জাত আরবে বেশ জনপ্রিয়। একে রাজকীয় খেজুর বলা হয়।

    ৪. সাগাই খেজুরের একটি অংশ নরম এবং অপর অংশ কুঁচকানো ও শুকনা হয়। এর স্বাদ লাল চিনির মতো।

    আরও খবর

    Sponsered content