তাহিরপুর থেকে বিশেষ প্রতিনিধি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:০৫:৩৬ অনলাইন সংস্করণ
এই প্রতারক বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে কখনো বড় ব্যবসায়িক কখনো ইট বাটার মালিক সেজে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে আসছে।
প্রতারকের বিরুদ্ধে জাবেদ মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী ঢাকা আদাবর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রথমে ১,৫০,০০০/= দ্বিতীয়বার ৫০,০০০/= তৃতীয়বারে ৪৫০০০/= সর্বমোট (২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা) প্রতারণা করে হাতিয়ে নেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা পূর্বপাড়া (চাকমা হাটি) গ্রামের মৃত সফি উদ্দীন”এর ছেলে প্রতারক জামাল মিয়া মোবাইল ০১৭১০৪২১৭৫১, দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিছ বেগম”এর মোবাইল ০১৭০৫০৩৭২০৪।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কয়লা, বালি, পাথর ব্যবসা আছে এই বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়লা,পাথর,বালি দেওয়ার কথা বলে।
কৌশলে অগ্রিম ও ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে অন্য ঠিকানা চলে যান।
কিছু লোকের কাছ থেকে নগদ টাকা নিলেও অনেকের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
অপরদিকে প্রতারক নিজের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার না করে অন্যান্য ব্যবসায়িকদের কাছ থেকে কয়লা, বালি, পাথর নেবে এই বলে তাদের একাউন্টে টাকা আনেন।
তারপর একাউন্ট মালিকদের কাছ থেকে চেক নিয়ে টাকা উঠিয়ে উনাদেরকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে উধাও হয়ে যান প্রতারক।
আরো জানা যায় দ্বিতীয় স্ত্রীর”র গ্রামের আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে চলে যায়।
তারপর প্রতারক জামালকে খুঁজতে এক বছর আগে তাহিরপুরে লাকমা পূর্বপাড়া (চাকমা হাটি) বাড়িতে আসেন ভুক্তভোগী।
অবশেষে ভুক্তভোগী আলী হোসেন প্রতারক কে ধরার জন্য তার এক আত্মীয় বাড়িতে এক সপ্তাহ থেকেও সন্ধান মেলেনি প্রতারক জামালের।
প্রতারক জামালের দুই স্ত্রী, প্রথম স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে লাকমার বাড়িতে বসবাস করেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী খোঁজ নিয়ে জানা যায় জামালের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে, ২০০৫ সালে ভাদ্রমাসের (১০ তারিখে) বিয়ে হয় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে।
যুবক জানান বিয়ের দুই বছর পর দশ মাসের একটি ছেলে সন্তান রেখে, ২০০৭ সালে রমজান মাসের (১৪ তারিখ) দিবাগত রাত, প্রতারক জামালের সহযোগিতায় দুইটি মোবাইল ফোন ও এক ভরি সোনার অলংকার সহ নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পর কুশলে যুবকের কাছ থেকে ডিভোর্স নেন বলে জানা।
প্রতারক জামালের দ্বিতীয় স্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার, রানীদিয়া গ্রামের মোরতুজ আলী বড় মেয়ে বিলকিছ বেগম।
আরো বলেন প্রতারক জামালকে বিয়ে করে প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করেন দ্বিতীয় স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাণীদিয়া গ্রামের এক মহিলার জানা দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিছ বেগম বাবার বাড়ির এলাকা থেকে সন্তানের অসুস্থতা কখনো নিজের অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে সহজ সরল অনেক মহিলাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিছেন প্রতারণা করে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা আদাবর থানা থেকে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে জামালের আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলতেছি মীমাংসা করার জন্য।