প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:৪৮:৫০ অনলাইন সংস্করণ
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে ‘সবচেয়ে বড় বাধা’ হলো ইসরাইলি অবৈধ বসতি বলে জানিয়েছে নরওয়ে।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ে বলেছে যে- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্ব এবং সম্প্রসারিত বসতি স্থাপনের উদ্যোগ হচ্ছে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রধান বাধা।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দেয়া এক বক্তব্যে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের উপর যে অবিচার করা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে’ এবং একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের একমাত্র সমাধান’।
এসপেন বার্থ আরো বলেছেন, ‘যখন বিশ্বের চোখ গাজার ভয়ঙ্কর যুদ্ধের দিকে, তখন অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ ও পূর্ব জেরুসালেমের পরিস্থিতিও অত্যন্ত গুরুতর’।
এদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেয়ার নীতি-অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেজা নাজাফি বলেছেন, গজায় দখলদার সেনারা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার রিপোর্ট তুলে ধরেন।
ইরানের এ প্রতিনিধি আশা করেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত তাদের স্বচ্ছ মতামত ও আদেশের মধ্য দিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের লাখ লাখ নিরপরাধ ও অসহায় নারী পুরুষ এবং শিশুকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রেজা নাজাফি বলেন, ‘আমরা মানব ইতিহাসের একটি টার্নিং পয়েন্টে অবস্থান করছি। এই আদালতের মতামত লাখ লাখ নিরপরাধ নারী-শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে এবং দশকের পর দশক ধরে বঞ্চিত ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে।
তিনি বলেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, জোরপূর্ব বেসামরিক নাগরিকদের উদ্বাস্তু করার পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইরানের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সেখানে জাতিসঙ্ঘের এই আদালতের পক্ষ থেকে গণভোটের আয়োজন করা হোক এবং এটিই ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ ও গণতান্ত্রিক উপায়।
সূত্র : আল-জাজিরা