নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:০৭:৩৭ অনলাইন সংস্করণ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলংয়ের প্রতাপপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির লাইনম্যান পরিচয় দানকারী দুলালের বিরুদ্ধে বেপরোয়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ।
চোরাকারবারীরা জানান দুলাল ও তার সিন্ডিকেট বাহিনী প্রতাপপুর বিজিবির লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করতেছে। দুলালের নেতৃত্বে চলছে রমরমা চাঁদাবাজির মহাউৎসব, ঐ এলাকা সমতল হওয়ায় সহজেই ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।
এতে করে সীমান্তে বিজিবি প্রতিনিয়ত বখড়া পেয়ে থাকেন বলে বিজিবি নিরব ভূমিকায় থাকেন ।প্রতাপপুর সীমান্তে দুলাল সিন্ডিকেটের ইশারায় বেপরোয়া গতিতে ছুটছেন চোরাকারবারীরা সীমান্তে দুলাল বাহিনীর দখলে । তাদের আইননে নিয়ন্ত্রন হচ্ছে চুরাচালানী রোড । প্রকাশ্যে চলছে চোরাচালান ব্যবসা এতে করে এলাকার সাধারণ জনগণের খতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নিরাপদে । প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ভারতীয় অবৈধ পণ্য গুলোর মধ্যে চিনি, চা পাতা, পান, সুপারি, আলু, টমেটো, কমলা,হালিম, পিয়াজ, জিরা,কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য নিরাপদেই পৌছে দেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ।এসবের নিয়ন্ত্রণ করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর এলাকার দুলাল বাহিনী, ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশের স্থান হচ্ছে, পান্তূমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, আগলছপুর, লামাপুঞ্জি, নশকিয়াপুঞ্জি, মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি,ও মগলিন, হয়ে চা বাগান এলাকা দিয়ে
রাধানগর বাজারে নিরাপদে প্রবেশ করেছে।
প্রতাপপুর সীমান্তে বসবাসরত হাজার হাজার নাগরিক বসবাস করছে এদের মধ্যে অনেকের অভিযোগ রয়েছে, সীমান্তের ওপর থেকে আশা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত , মোটরসাইকেল ও ট্রলি বোজাই করে এসব মালামাল রাধানগর গরু বাজারে নিয়ে আসা হয় । মোটরসাইকেল ও ট্রলির বিকট শব্দে সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ঘুমোতে পারেন না ।
এবিষয়ে জানতে দুলাল এর মোঠুফোনে কয়েক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ায় ধরাকে সরা গান মনে করছেন হাজীপুর নিবাসী দুলাল।
এবিষয়ে প্রতাপপুর সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডারের সরকারি ফোনে, কথা বলতে চাইলে তিনি জানান আমি সীমান্তে আছি পরে কথা বলব