• লিড

    গোয়াইনঘাট পুলিশের বিরুদ্ধে নিরপরাধকে গুলি করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

      নিজস্ব প্রতিবেদক ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:৩৩:২৪ অনলাইন সংস্করণ

    সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চোরাকারবারির পক্ষে নিরপরাধকে গুলি করে মিথ্যে মামলায় ফাসানোর অভিযোগে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালত ও ১০ নং আমলী আদালত, সিলেট এ মামলা দায়ের করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ল্যাঙ্গুরা ইউনিয়নের সতী গ্রামের কামরুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছাঃ সেলিনা বেগম।
    গোয়াইনঘাট সি আর মামলা নং-১১/২০২৪।
    মামলা সূত্রে জানা যায় – দরখাস্তকারীঃ মোছাঃ সেলিনা বেগম এর মামলায় আসামি করা হয়েছে গোয়াইনঘাট থানার কর্মরত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা সহ ১১ জনকে,তারা হলেন (১) এসআই (নিঃ) মোঃ আখতারুজ্জামান, (২) কনস্টেবল সুমন চন্দ্র দাস (৩)এসআই (নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন (৪)এস.আই (নিঃ) সোহেল রানা,(৫) এসআই (নিঃ) জাহাঙ্গীর আলম।সর্বসাং: গোয়াইনঘাট পুলিশ ষ্টেশন (থানা)থানা: গোয়াইনঘাট, জেলা: সিলেট সহ গং ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য।
    মামলা ও বাদি সূত্রে জানা যায় – গত ২৯/১২/২০২৩ ইং তারিখ সময় রাত অনুমান সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকায় সময় বাদিনীর স্বামীর সতী গ্রামস্থ বসত ঘরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি দল দিনমজুর কামরুল ইসলাম’কে চোরাকারবারি ও পুলিশের যোগসাজশে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতারের লক্ষ্যে অতর্কিতে ঢুকে কোন কিছু বুঝার আগেই মারধর শুরু করে।কামরুল ইসলাম’কে বন্দুকের নল দিয়ে এসআই কামাল মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে।

    সেলিম বেগম বলেন – আমার স্বামীর উপর মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ পরিবারের মহিলাদের উপর বন্দুক ও অন্যন্য অস্ত্রের মাধ্যমে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে এবং আমার অজ্ঞান স্বামীর বুকের উপর ১ নং আসামি পা দিয়ে চেপে ধরে ও ৪ ও ৫ নং আসামিগণ হাত ও পা চেপে ধরে রাখে এবং ২নং আসামি কনস্টেবল সুমন চন্দ্র দাস ঠান্ডা মাথায় কামরুল ইসলাম এর হাটুর উপর বন্দুকের নল লাগিয়ে গুলি করে।
    কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি মারধরে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত তার মা জিলেখা বেগম(৬০)সামনে দাড়িয়ে কারণ জানতে চাইলে কনস্টেবল সুমন চন্দ্র দাস তার হাতে গুলি করে ঘরের বাকি মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচার করে এবং কোন ধরনের মামলা না থাকা সত্বেও কামরুল ইসলাম এর মা জিলেখা বেগম,বোন রুনা আক্তার ও তাদের বাড়িতে থাকা আত্মীয় কামরুলের মামাতো ভাই আব্দুল বাছিত’কেও ধরে থানায় নিয়ে যায়।

    পুলিশ কামরুল ইসলামসহ আহত সবাইকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কামরুল,কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
    পরবর্তীতে থানা পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার দেখিয়ে সিলেট কোর্টে প্রেরণ করেন।বর্তমানে আসামি কামরুল ইসলাম এবং আব্দুল বাছিদ ছাড়া বাকিরা জামিনে বাইরে আছেন।
    এ প্রতিবেদক পুলিশের এতো আক্রোশের কারণ কি জানতে চাইলে মামলার বাদি সেলিনা বেগম বলেন – তার স্বামী কামরুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের নিষেধ আপত্তি দিয়ে থাকেন।
    এই সমস্ত কারণে বহুদিন যাবৎ এলাকার অনেক লোক পুলিশের সহযোগীতায় আমার স্বামীকে জেল খাটাবার জন্য আমার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উদ্ভট ও মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করে আসছেন।
    ইতিপূর্বে বহুবার গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে চোরাকারবারিদের কাজে কোন বাধা প্রদান না করতে কামরুলকে শাসিয়ে যান,অন্যথায় আমার স্বামী সহ আমাদের পরিবারের সবাইকে খুন খারাবী করার ভয়ভীতি দেখান,থানার পুলিশের সাথে আমাদের এলাকার চোরাচালানিদের উপস্থিতিও আমরা লক্ষ্য করেছি। এই অবস্থায় আমরা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ হওয়ায় কোন রকম দিন যাপন করতে ছিলাম ।

    গত ২৯/১২/২০২৩ ইং তারিখ সময় রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় ১ হতে ৫নং আসামী পুলিশ সদস্য সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য এসে আমাদের ঘরের দরজায় টোকা দেয় এবং আমার স্বামীর নাম ধরে ডাকাডাকি করে।আমার স্বামী চায়ের কাপ হাতে থাকা অবস্থায় দরজা খুলে দেয়া মাত্রই বন্দুকের নল দিয়ে আঘাত করে আমার স্বামীকে অজ্ঞান করে ফেলে।তারপর আমাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়,আমার ৪ মাস বয়সী মেয়েকেও রেহাই না দিয়ে নিচে পেলে পা দিয়ে চেপে ধরে,আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাদেরকে পুলিশের উপর হামলার সাজানো মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

    তাছাড়া আমার শশুর এবং আমার স্বামীর বন্ধু একই গ্রামের রাসেল আমাদের বাড়িতে উপস্থিত না থাকা সত্বেও উনাদের পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও হামলা মামলার আসামি করে।
    এখন আমার স্বামী,আত্মীয় আব্দুল বাছিদ এবং রাসেল ছাড়া বাকি সবাই-ই জামিনে আছে।

    আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা,পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতা এবং সর্বোপরি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।

    আরও খবর

    Sponsered content