নিজস্ব প্রতিবেদক ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:০৮:২৮ অনলাইন সংস্করণ
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ল্যাংগুড়া ইউনিয়নের সতী গ্রামের ইসরাক আলী ওরফে কালা মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম’কে সাজানো মামলায় গ্রেফতারের সময় নিজ বসত গৃহে পুলিশের গুলি ও পরিবারের মহিলা এবং শিশুদের উপর অমানবিক নির্যাতন এবং মামলা ছাড়া গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশের বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন “সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশ, সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর জেলা পরিষদ গেইটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট ওবায়দুর রহমান এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এস এম ওয়াহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খালেদ মিয়া, গুলিবিদ্ধ কামরুল ইসলাম মা ও গুলিবিদ্ধ ভিক্টিম জিলেখা বেগম, তার স্ত্রী ও ভিক্টিম সেলিনা বেগম।
উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তারা মিয়া, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বিনিয়াইয়ামিন, সার্চ সিলেটের সহ সভাপতি এনামুল হক এনাম, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মো: মোহন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক তুষার চৌধুরী, সহ সম্পাদক ও সাংবাদিক মাওলানা আব্দুল মুকিত, নগরীর তালতলাস্থ সুরমা টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান পারভেজ প্রমুখ সহ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী সহ সতী গ্রামের শতাধিক সাধারণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন – গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় অবাধে গরু-মহিষ ও বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সহ বিপুল সংখ্যক পণ্য সামগ্রী চোরাকারবারি’রা প্রশাসনের নাকের ডগায় নিয়ে আসছে।
সতী গ্রামের ইসরাক আলী ওরফে কালা মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু চোরাচালানের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় চোরাকারবারি চক্র বিপুল অংকের টাকা বিনিয়োগ করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি চক্রকে প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলা সৃজন করে কথিত গ্রেফতারের পরোয়ানা নিয়ে সন্ধ্যার সময় গ্রেফতারে এসে নিজ বসত গৃহে কামরুল ইসলাম কে ধরে পায়ের হাটুর উপর বন্দুক রেখে গুলি ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘরে থাকা তার মা জিলেখা বেগম ও বোন রুমা বেগম সহ তাদের বাড়িতে থাকা আত্মীয় কে মারাত্মক ভাবে আহত করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
কথিত আসামি কামরুল ইসলাম কোন গুরুতর মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নহে অথবা সশস্ত্র আবস্থায় কোন সন্ত্রাসী বা জঙ্গি ডেরায় নহে যে তাকে ধরে গুলি করতে হবে এবং চিৎকার চেচামেচি করায় পরিবারের মহিলা সদস্যদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও গ্রেফতার করার পরে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কোর্টে প্রেরণ এবং তাদের সবার মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে রেখে হয়রানি করা মৌলিক মানবাধিকারের নির্লজ্জ লঙ্ঘন।
সে অপরাধী হয়ে থাকলে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা স্বাভাবিক নিয়ম থাকলেও এক্ষেত্রে অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আইনের লংঘন ঘটিয়ে একটি নিরীহ দরিদ্র পরিবারের প্রতি চরম জুলুম নির্যাতনের আশ্রয় নিয়েছেন।
এজন্য ভিক্টিম সেলিনা বেগম বাদি হয়ে নির্যাতনের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের উপর সিলেট গোয়াইনঘাট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন, যার নাম্বার ১১/২০২৪।