• আইন আদালত/সাজা

    ৬৮২ মামলায় বিএনপির ১৫ হাজার ৮৮২ নেতাকর্মী গ্রেফতার

    আসামি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৫৪৮ জন

      স্টাফ রিপোর্টার; ২০ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:২৮:৫৭ অনলাইন সংস্করণ

    ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এর আগে ও পরে ৬৮২টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধীদলীয় ১৫ হাজার ৮৮২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব মামলায় ৫৬ হাজার ৫৪৮ জন নিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে বলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

    বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, গত জুলাই মাস থেকে এ

     

    পর্যন্ত ৬৮২টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপির ১৫ হাজার ৮৮২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব মামলায় ৫৬ হাজার ৫৪৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

     

    বেশির ভাগ মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জামিন দেয়ার এখতিয়ার না থাকায় সেশন কোর্টে জামিন আবেদন করা হচ্ছে। তবে সেশন কোর্ট বেশির ভাগ বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য এক থেকে দেড় মাস সময় দিচ্ছে। যে কারণে বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের শুনানি এবং কারামুক্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যেসব বিএনপি নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন তাদেরকে আমরা আইনি সহায়তা দিচ্ছি এবং তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করছি।

    তিনি জানান, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালত জামিন শুনানির এদিন ধার্য করেন।

    আইনজীবীরা জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ কনস্টেবল হত্যা, পিস্তল ছিনতাই, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, নাশকতা, ভাঙচুর, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, গাড়ি পোড়ানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতারের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষ নেতারা কারাগারে আটক রয়েছেন। আটক হয়েছেন ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

    নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নেতাকে একটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিছু নেতাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য মামলাগুলোতে এখনো গ্রেফতার দেখানো না হলেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আইনজীবীরা।
    গ্রেফতারের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব:) শাহজাহান ওমর, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক কারাগারে আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৮ থেকে ১০টি করে মামলা রয়েছে।

    এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫৩টি মামলা করা হয়েছে এবং এসব মামলায় কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা জামিন আবেদন করছেন এবং আইনি সহায়তা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেখানে আইনজীবী ফোরামের নেতারা সহায়তা দিচ্ছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content