আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:১৯:১০ অনলাইন সংস্করণ
বি৬১ পরমাণু বোমাই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল গোটা হিরোশিমা শহরকে। এবার সেই বোমারই একটি আধুনিক রূপ তৈরি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন। আধুনিক রূপের নাম হবে বি৬১-১৩।
মার্কিন সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব জন প্লাম্ব এক বিবৃতিতে বলেন, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের ক্রমবর্ধমান হুমকি সঙ্গে যুঝতেই এইপদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করতেও এটা জরুরি বলে জানান তিনি। তার কথায়, আমেরিকার বন্ধুস্থানীয় দেশগুলিকেও ভরসা জোগাবে এই পরমাণু বোমা। সূত্রের খবর, নতুন বোমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হবে ৩৬০ কিলোটন। হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার ধারণক্ষমতা ছিল ১৫ কিলোটন। অর্থাৎ তার থেকে ২৪ গুণ বড় হবে এই নতুন বোমা।
প্রসঙ্গত, নাগাসাকিতে ফেলা বোমাটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা ছিল ছিল ২৫ কিলোটন। বি৬১-১৩ নামের নতুন বোমাটি তার থেকে প্রায় ১৪ গুণ বড়। আধুনিক বিমান এবং রিলিজ নোটগুলি নতুন বোমা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। বি-২১ রাইডার বোমারু বিমান ব্যবহার করে তা ফেলা হবে লক্ষ্যে। ৬২ কোটি ২০ লাখ ডলারের এই বিমান বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীতে আছে। গ্রাভিটি বোমা আনগাইডেড থাকে। কিন্তু নতুন বোমায় টেইল কিট থাকবে। এতে টার্গেট করতে সহায়ক হবে এবং অধিক নির্ভুলভাবে টার্গেটে আঘাত করতে পারবে।
এর আগে তৈরি করা হয়েছিল বি৬১-১২ পরমাণু বোমা। সুরক্ষার নিরিখে সেই বোমার নানা বৈশিষ্ট্য নতুন বোমাতেও থাকবে। আধুনিক বিমান এবং রিলিজ নোটগুলো নতুন বোমা সরবরাহ করতে সক্ষম হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রুদের এবং বৃহত্তর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আরও বেশি আঘাত করার নতুন বিকল্প ব্যবস্থা দেবে।
বোমা তৈরির বিষয়টি অনুমোদিত হলে বোমাটি আমেরিকার মোট পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার বৃদ্ধির পরিবর্তে এগজিস্টিং মার্কিন পরমাণু মধ্যে কিছু বি৬১-৭ বোমাকে প্রতিস্থাপিত করবে।
পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই নতুন খবর এসেছে। এটি ‘বিস্তৃত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি’ নামে পরিচিত। রাশিয়া এই মাসের শুরুতে চুক্তির অনুমোদন প্রত্যাহার করে। এর ফলে রাশিয়ারর পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পথ পরিষ্কার হয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেভাদায় একটি পারমাণবিক পরীক্ষা সাইটে একটি উচ্চ-বিস্ফোরকের পরীক্ষাও চালায়, যা দুই শক্তির মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল ‘মার্কিন পারমাণবিক সম্প্রসারণ লক্ষ্যের সমর্থনে নতুন প্রযুক্তি বিকাশের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সূত্র: ডেইলি মেইল।