কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ১ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:০৩:১০ অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির ডাকা তিনদিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে নেতাকর্মীরা সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও যানবাহনে ইটপাটকেল ছুড়ে মারলে যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্নতা সৃষ্টি করেন। বুধবার দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতৃবৃন্দরা হঠাৎ করে শহরের সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীপাড়া মল্লিকপুর ও মদনপুর রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে হঠাৎ কিছু নেতাকর্মীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবরোধের সমর্থনে রাস্তায় এসে ঝটিকা মিছিল করেন। এ সমময় অবরোধকারীরা ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বাধাঁ প্রদান করেন এবং চলন্ত কিছু যানবাহনে ইটপাটকেল ছুড়ে মারলে রাস্তায় সাময়িক যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে যাওয়ার পর আবারো রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। তবে পুলিশের শক্ত অবস্থান ও গ্রেপ্তার আতংঙ্কের কারনে বিএনপি,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময় রাস্তায় অবস্থান নিতে পারেনি। এদিকে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পুলিশ,র্যাব ও বিজির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেয় এবং তাদের মোবাইল টিমের সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে সার্বিক অবস্থা টহলের মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করছেন। তবে সকালের দিকে যানবাহন চলাচল ও দোকানপাঠ তেমন একটা খোলা না হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুলিশ সদস্যদের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় জেলা শহরের ভেতরে ও আভ্যন্তরীন রোডে লেগুনা,সিএনজি ও অট্রোরিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়। তবে শহরের নতুন বাসস্ট্রেশন এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে র্দূভোগে পড়েছেন সাধারন যাত্রীসাধারন। তবে সাধারন মানুষ,যাত্রীসাধারনসহ কেটে খাওয়া দিনমুজুর ও শ্রমিকদের দাবী হচ্ছে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচী তারা কাজকর্ম করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে থাকতে হয়। তারা মনে করেন এমন ধবংসাত্মক কর্মসূচী না দিয়ে সরকারী দল ও বিরোধী আন্দোলনকারী দলগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের উভয়ের সমস্যা সমাধান করলে তো আর গরীব মানুষদের কষ্ট পোহাতে হয় না। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,একটি গনতান্ত্রিক দেশে এই ফ্যাসিস ও অবৈধ ভোটারবিহীন সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিরোধী মত ও পথের নেতাকর্মীদের গনতান্ত্রিক অধিকার সভা সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আজ আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কর্মসূচীতে বাধা প্রদান বাসায় বাসায় পুলিশী তল্লাশী চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অবিলম্বে সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত কেন্দ্রীয় সকল বিএনপি ও সহযোগিত সংগঠনের নেতাদের মুক্তির দাবীর পাশাপাশি একটি র্নিদলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবী জানান। অন্যতায় সরকার যতই গ্রেপ্তার,দমন পীড়ন আর অত্যাচার নির্যাতন করুক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদি দলের আদর্শের সকল নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,গনতান্ত্রিক দেশে আন্দোলনের নামে কেউ জ্বালাও পুড়াও করা এবং যানবাহনে হামলা ও ভাংচুর করার কোন অধিকার কারো নেই। কাজেই যেখানে জন শংখলা বিঘ্নিত হবে সেখানেই আইন শৃংখলা তথা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।