• জাতীয়

    প্রবাসী সাংবাদিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছেন

    অভিযোগ তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

      নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৩৬:১০ অনলাইন সংস্করণ

    প্রবাসী সাংবাদিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে চায়। এ কারণে তারা বিভিন্ন সময় নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু কয়েকজন প্রবাসী সাংবাদিক ও বাঙালি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

    এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণমূলক সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজারের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নানা বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রবাসী সাংবাদিক ও কয়েকজন বাঙালি নাগরিক ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। তারাই জোর করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বাধ্য করছেন। অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে তো তারা এতো কথা বলে না। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসবে না। আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই যাব। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই যাব। এর আগেও অনেক নির্বাচন হয়েছে এবং সেগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। আর এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে কোনো বন্ধু দেশ যদি আমাদের সহযোগিতা করতে চায়, অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাই।

    যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু দেশ আখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু দেশ। তারা আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে। তারা আমাদের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায়। তারা নানা সময় পরামর্শ দেয়। তাদের পরামর্শ বিবেচনা করে গ্রহণযোগ্য হলে আমরা নেব।
    গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদিন বিএনপির উদ্দেশ্যই ছিল জ্বালাও-পোড়াও। তারা হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে। এখন সাধারণ মানুষের জানমাল নষ্ট করছে।

    বিএনপিকে ঔপনিবেশিক আচরণ বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান তিনি।
    ফোসার উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী চ্যারিটি বাজার সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মেলা থেকে যা আয় হয়, অসহায় হতদরিদ্রদের কল্যাণে আমরা ব্যয় করি। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকছি।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য, পোশাক, শাড়ি, বুটিক পণ্য, লেদার পণ্য, বই প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হচ্ছে।
    বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পেয়েছে।
    ভারত, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম, চীন, শ্রীলঙ্কা দূতাবাসসহ ১৮টি বিদেশি মিশন ও ৩২ স্থানীয় সংস্থা চ্যারিটি বাজারে অংশ নিয়েছে। ফোসার সামাজিক ও কল্যাণমূলক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চ্যারিটি বাজার থেকে অর্জিত আয় আর্ত মানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content