• অনিয়ম / দুর্নীতি

    দিরাইয়ে সরকারি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভূমিদাতাদের নাম পাল্টে রাজাকারের নাম: মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ

      মো: বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ১২ নভেম্বর ২০২৩ , ১২:২৪:২৬ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা হিসেবে একজন চিহ্নিত রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে। তারা অনতিবিলম্বে এই নাম বাদ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আনুরোধ জানান।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এর ভূমি দাতা হিসেবে একাধিক ব্যক্তির নাম ছিল। কিন্তু বর্তমানে একজন চিহ্নিত রাজাকারের নাম থাকায় এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি এ খবরটি জানাজানি হলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা জানান, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের নামে কোন মতেই একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা হিসেবে নাম থাকতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে বিদ্যালয় থেকে এই নাম মুছে দিতে হবে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, যারা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিরোধী এই রাজাকারের নাম সরকারি বিদ্যালয় থেকে বাদ দিতে। শীঘ্রই আমরা লিখিতভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবো। ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ বইয়েও রাজাকার হিসেবে তার নাম রয়েছে।

     

    সরেজমিন জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা হিসেবে মৃত আছকির মিয়ার ছেলে মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব মিয়ার নাম রয়েছে। এ নিয়ে আছকির মিয়ার অন্যান্য ছেলেদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের কয়েকজন সদস্য জানান, সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলিবের ছেলে মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আগের নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র তার পিতার নাম লেখেন। এ নিয়ে পরিবারের সবাই নাখোশ। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
    জারুলিয়া গ্রামের মৃত আছকির মিয়ার ছেলে হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, মরহুম আব্দুল মতলিব মিয়া আমার ভাই ।

     

    তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন কারণে দিরাইয়ে সুপরিচিত, বিশেষ করে তাকে রাজাকার হিসেবে মানুষ চিনতো। ৭২ সনে জেল ও খেটেছেন। আর স্কুলের জায়গা আমাদের পরিবারের সবার মালিকানার জায়গা উনি এটা একক ভাবে জালিয়াতি করে রেজিস্ট্রি করেছেন। জানতে চাইলে দিরাইয়ের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, সরকারি একটি বিদ্যালয়ে একজন চিহ্নিত রাজাকারের নাম ভ‚মিদাতা হিসেবে থাকা বিষয়টি অত্যন্ত গর্হিত কাজ।

     

    তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
    দিরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোঃ আতাউর রহমান জানান, কোন সরকারি বিদ্যালয়ে দাতা হিসেবে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের নাম থাকা অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। এটি কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। ভোরের কাগজ দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি ও দিরাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন

    জোসেফ বলেন স্কুলের জায়গা আমাদের যৌথ মালকানার জায়গা আব্দুল মতলিব কোন ভাবেই সবার জায়গা একক ভাবে স্কুলের নামে দিতে পারেন না।

     

    আর তিনি দিরাই উপজেলার অন্যতম রাজাকার হিসেবে স্বীকৃত এবং প্রথম স্কুল করার পর স্কুলের দাতার নাম ছিল মতলিব এন্ড ব্রাদার তার পর আমাদের পরিবারে সবাই এবং স্কুল কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে মতলিব মিয়ার পিতা এবং আমাদের দাদা আছকির মিয়া স্কুল দাতা হিসাবে নেইম-প্লেট ব্যাবহার করা হয় এবং ১৫-১৭ বছর দাতা হিসাবে আছকির মিয়ার নাম ছিল কিন্তু

     

    বর্তমানে চেয়ারম্যান হয়েই মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল তার প্রভাব কাটিয়ে দাদার নাম মুছে শুধু তার বাবার নাম লিখায় যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গ্রাম্য শালিশে প্রতিবাদ করলে –

    আমি ও আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে গুরুত্বর আহত করে।

    পরিবারে সবার জায়গা একক ভাবে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া মৃত মতলিব মিয়া ভাইদের ঠকানোর উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন । আমরা বিচারের দ্বারত্ব হব।

    0Shares

    আরও খবর

    Sponsered content