• আইন আদালত/সাজা

    ছাত্রলীগকর্মী আরিফ হত্যা সিসিক কাউন্সিলর নিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

      নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৫১:৫৮ অনলাইন সংস্করণ

    সিলেট নগরের বালুচর এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় দায়েরকৃত মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপুসহ আসামি করা হয়েছে ১০ জনকে।

    এছাড়া আরো ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। নিহতের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, খুনের ঘটনায় আগেই আটক দু’জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    এছাড়া হত্যাকান্ডের পরপরই কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

    গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচর টিবিগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কয়েক যুবক আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়।


    আরিফ এর মা আঁখি বেগম বলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে দেখি  আরিফকে ছুরিকাঘাত করে সাদা পাঞ্জাবি পরে হিরণ মাহমুদ নিপু মোটর সাইকেলে উঠে চলে যাচ্ছিলেন।

    পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে হাসপাতালের নেওয়া হয়। এসময় আরিফ বলেছে, হিরণ মাহমুদ, রনি, মামুন, হেলালসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তার ওপর হামলা চালায়।


    সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    আরিফ পদে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতো। তিনিও এ হত্যাকা-ে হিরণ মাহমুদ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন।

    আরিফের ওপর কিছু দিন আগেও হামলা হয়েছে। সে ঘটনা উল্লেখ করে আঁখি বেগম আরো বলেন, আরিফের বন্ধুর সঙ্গে অন্যদের পূর্ববিরোধ ছিল। বন্ধুকে না পেয়ে আরিফের ওপর হামলা চালানো হয়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর এ ঘটনায় গত সোমবার সিলেটের শাহপরান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।

    সিলেটের শাহপরান থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারধরের ঘটনায় আরিফের মা আঁখি বেগমের দায়ের করা অভিযোগটি সোমবার রাতেই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

    মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আরিফের পূর্ববিরোধ ছিল। আসামি হিসেবে বালুচর এলাকার জুনেদ, আনাছ মিয়া, কুদরত আলী, কালা মামুন, শরীফ, হেলাল ও সবুজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

    শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, গত সোমবার রাতে পাওয়া অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, আরিফ হত্যার ঘটনায় আটক রনি ও মামুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এলাকায় তারা বখাটে হিসেবে পরিচিত। পূর্বপরিকল্পিতভাবেই আরিফকে খুন করা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content