আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:২৫:৩১ অনলাইন সংস্করণ
গত বছর তালেবান প্রশাসন মাদকের চাষ নিষিদ্ধ করার পর থেকে আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। অথচ একসময়ে আফিম পপি সরবরাহে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ ছিল আফগানিস্তান। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে আফগানিস্তানে মাত্র ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই মাদকটির চাষ হয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আফিমের সরবরাহ চলতি বছর ৯৫ শতাংশ কমে ৩৩৩টন হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তানে আফিম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান। আফগানিস্তানই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী। এখান থেকেই ইউরোপে ও এশিায়য় হেরোইন যেত। জাতিসংঘের অফিস অফ ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফিম চাষ ৯৫ শতাংশের বেশি কম হয়েছে। গত বছর দুই লাখ ৩৩ হাজার হেক্টরে আফিম চাষ হয়েছিল। এবার হয়েছে, ১০ হাজার আটশ হেক্টরে। গতবছর আফিম উৎপাদন হয়েছিল ছয় হাজার দুইশ টন, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ টন। এই বছর যে চাষ হয়েছে, তার থেকে ২৪ থেকে ৩৮ টন হেরোইন রপ্তানি করা যাবে। ২০২২ সালে রপ্তানি করা হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৫৮০ টন। গত বছর আফিম চাষ করে কৃষকদের রোজগার হয়েছিল ১৩৬ কোটি ডলার। এবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা আফিম চাষ করত, তারা যাতে অস্ত্র পাচার বা অন্য কোনো বেআইনি কাজ না করে, তার দিকে নজর রাখা উচিত। ইউএনওডিসি-র এক্সিডিউটিভ ডিরেক্টর ঘাডা ওয়ালি বলেছেন, ‘আজ আফগানিস্তানের মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ খুবই জরুরি। ধান ও তুলো চাযের জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়। আর আফগানিস্তানে পরপর তিন বছর খরা হয়েছে। তাই মানুষকে বাঁচাতে সেখানে বিনিয়োগ দরকার। ডয়চে ভেলে।