• সুনামগঞ্জ

    শাল্লায় পূজা কমিটির সাথে ওসির জরুরি সভা

      প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:৫৯:৩৮ অনলাইন সংস্করণ

    তৌফিকুর রহমান, শাল্লা প্রতিনিধি: শাল্লায় পূজা উদযাপন পরিষদ ও দুর্গাপূজা পরিচালনা কমিটির সাথে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় শাল্লা থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যালয়ে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস, সহ সভাপতি প্রভাষক সজল কান্তি সরকার, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেন, মুক্তারপুর রামকৃষ্ণ গোসাই আখড়ার পূজারী গোপাল দাশ মোহন্ত, পঞ্চগ্রাম সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি তপন কুমার দাস, সংবাদকর্মী পীযূষ শেখর দাশ, বাজারকান্দি চৌধুরী বাড়ি পূজা কমিটির সভাপতি মানসিংহ চৌধুরী মনোজ, চাকুয়া আখড়া সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদুল চন্দ্র দাশ ও আনন্দপুর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি সুব্রত সরকার প্রমুখ।

    এসময় ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন যেসব পূজা মণ্ডপে এখনই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন, সেই সব পূজামণ্ডপে আপনারা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করুন। অন্যতায় দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ পেয়ে প্রতিমা ভাংচুর করতে পারে। এবিষয়ে আপনাদেরকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। খোলা জায়গায় প্রতিমা তৈরি করবেন না। নিরাপদ স্থানে প্রতিমা তৈরি করুন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। সম্ভব হলে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।

    এসময় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেন প্রতিটি পূজা কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন দুর্গাপূজার ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে প্রতিটি মণ্ডপে যেন শুধু ভক্তিমূলক গানই পরিবেশন করা হয়। যে মাতৃ সঙ্গীত হৃদয়ে আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রসার ঘটায়, মনেপ্রাণে পবিত্রতা আনে, ঈশ্বরে আত্মসমর্পণ উৎসাহ যোগায় সেই সঙ্গীত। পাশাপাশি বিকট সাউন্ড পরিহার করে সাউন্ড সিস্টেম সীমিত করুন এবং অশ্লীল নৃত্য পরিহারের উদাত্ত আহ্বান জানান প্রতিটি পূজা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি।

    উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন এবছর উপজেলায় ৩০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ৩৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রতিটি মণ্ডপে যেনো মায়ের পূজার সাত্ত্বিকীভাব বজায় থাকে। কেননা পূজা একটি পবিত্র উৎসব। আমাদের মনে রাখতে হবে দুর্গাপূজায় অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে আর শুভ শক্তির উদয় হয়।
    এসময় উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শাল্লা শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

    Sponsered content