প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:৫১:২৩ অনলাইন সংস্করণ
তৌফিকুর রহমান, শাল্লা প্রতিনিধি: নৌকাবাইচ হলো নদীতে নৌকা চালনার সেই প্রতিযোগীতা। যদি ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে হয়, তাহলে কেমন হয়?
তবে এখানে দাঁড় টানার কসরত ও নৌকা চালনার কৌশল দ্বারা বিজয় লাভের লক্ষ্যে আমোদ-প্রমোদমূলক প্রতিযোগিতা বোঝায়। কিন্তু এযুগে চলছে উল্টো ধারা একদল মাঝি নিয়ে নয়,মাত্র একজন নৌকার সারতী দিয়েই চলে।
প্রকৃত নৌকা বাইচ যেভাবে হয়,,,
একেকটি দল গঠিত হয়। এমন অনেকগুলো দলের মধ্যে নৌকা দৌড় নৌকা চালনা প্রতিযোগিতাই হল নৌকা বাইচ।আজ শাল্লা উপজেলা আটগাঁও গ্রামে।
গ্রামের পাশে বয়ে যাওয়া নদীতে চলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বাইচ।
একই গ্রামের বজলু মিয়া বনাম জুনাই আহম্মেদ জুনেদ দু,জনের ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে আজ সকাল,১১ ঘটিকার সময় অনুষ্ঠিত হয়। হারানো ঐতিহ্য নৌকা প্রতিযোগীতা দেখার জন্য গ্রামের আড়ে বসে থাকে হাজারো মানুষ।
নৌকা বাইচটি উপভোগ করে।এ প্রতিযোগিতায় জুনাই আহম্মেদ জুনেদ এর নৌকা জয়ী হয়। ওদের জিজ্ঞেস করলে বলেন,,,আমরা দুধ না পাইয়া আচরীত কামড়। কারণ হাতে বাইয়া নৌকার বাইচের মজাই আলাদা। পরিচালনা কমিটি ছিলেন, মুসলিম মিয়া, আবুল বাশার প্রমূখ।
মুসলিম বলেন,শুধু নৌকা বাইচ নয়। আমার কাছে মনে হয় অতীতের, নৌকা বাইচ,যাত্রাপালা সবই আজ বিলুপ্তির পথে।
আবুল বাসার বলেন,আমরা আনন্দ আর কি করবো সবই তো আস্তে আস্তে আমাদের কাছে কেড়ে নিচ্ছে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা বাইচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলাম এতক্ষণ ঠিকই, কিন্তু কি যেন অভাব,অপূরণ রয়েছে,এরকম ছিল আমার মন।
নৌকা বাইচ আমাদের এলাকায় আবারো যদি ফিরে পেতাম,,,
নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ বাংলাদেশের নৌকা বাইচ। এক সময় এ দেশে যোগাযোগ ছিল নদী কেন্দ্রিক আর বাহন ছিল নৌকা। এখানে নৌ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন নৌকা বাইচ ক্লাব বা সমিতি এসব শিল্পে যুগ যুগ ধরে তৈরি হয় দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর। এক সময় হাজার হাজার মানুষের ভীর জমতো নৌকা বাইচে। আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।