প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:২২:৫৩ অনলাইন সংস্করণ
তৌফিকুর রহমান তাহের, শাল্লা প্রতিনিধি: শাল্লা উপজেলা ১ নং আটগাঁও ইউনিয়ন এর, কাশিপুর গ্রামের, সুপ্লজিত দাস (২০)পিতা সুনীল দাস নামে এক যুবক গত ১৭ মার্চ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। তিনি আজ আটগাঁও গ্রামে জামে মসজিদে জুম’আর নামাজ আদায় করেন।
তিনি মুসলমান কেন হলেন এক প্রশ্নোত্তোরে বলেন ইসলাম ধর্মের বিধিনিষেধ, আমাকে মুগ্ধ করে।
তার সফর সঙ্গীগণ, তার চাচা দেবেশ চন্দ্র দাস,পিতা সুবল চন্দ্র দাস উনি ২০১৯ সালে মুসলিম হন।বর্তমান মোহাম্মদ আলী হোসেন।
আলী হুসেন (২৬)এক বক্তব্যে বলেন,মূলত আমিই আমার ভাতিজা সুপ্লজিতকে(২০)বুঝিয়ে সুজিয়ে,ইসলামের বিধি নিষেধ নিয়ে পর্যালোচানা করলে প্রচন্ড খুশি হয়ে আজকের নও মুসলিম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ একই গ্রামের সফর সঙ্গী সামিননুর মিয়া বলেন, আব্দুল্লাহ সাথে ঘুরে কি যে ভাল লাগছে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
আমির হামজা বলেন উনাকে নিয়ে যে মসজিদেই যাচ্ছি সেখানে খুব সম্মান করছেন। সবাই,নাসিম বলেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ যেথায় যাচ্ছি সেথায় মানুষ আব্দুল্লাহকে দেখার জন্য ভীর জমায়। এবং খুব সম্মান, সালাম দিয়ে কথা বলেছেন।এইসব দেখে আমার খুব ভাল লাগছে।
ইসলাম গ্রহণের পর আপনি কি অনুভব করছেন?
আব্দুল্লাহ বলেন–
আল্লাহর হাজার শোকর যে, তিনি আমাকে ঈমানের অমূল্য সম্পদ প্রদান করেছেন। আমি নিজকে পৃথিবীর এক ভাগ্যবান ও বিজয়ী পুরুষ বলে মনে করি। অজ্ঞানতার দুনিয়ায় আমি ‘ভগবান’ হিসেবে পূজিত ছিলাম, আজ এক আল্লাহ তাআলা উপাসনা করবো।এবং করতে পারি এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আব্দুল্লাহ। বলেন আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
আমি প্রাপ্ত বয়স্ক সঠিক পথ বুঝতেপেরেছি,
সে জন্য সত্য স্বীকারে আমার কোন সংকোচ ছিল না। আমার সমবয়সীদের “যে বন্ধন বাঁধে, সেই বন্ধনই মুক্তি দিতে পারে।সে জন্যই মুসলিম হলাম। সারা জীবনের জন্য বন্ধন সৃষ্টি প্রবণতা থেকে যাবে। এ ধরনীতে মানুষকে এক সাথে বেঁধ রাখার জন্য বন্ধনকারী ধর্মের প্রয়োজন রয়েছে, যা তাদের পৃথিবীতে ভাল করে বেঁধে রাখবে এবং পরলোকে মুক্ত করে দেবে। আর এ রকম ধর্ম আমার মতে একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। ইসলাম ছাড়া এরকম ধর্ম আমি আর দেখি না।