প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:৪৭:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাস্তবতা হলো তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কোনো অধিকার নেই। সুতরাং দে মাস্ট বি কোয়াইট। তারা চুপ করে থাকবে। আমি যেটা বললাম, তাদের ভিসানীতি দেখে দিনের শেষে কিন্তু তারাই লজ্জ্বিত হবে। আর হিউম্যান রাইটসের কথা, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও আমাদের হিউম্যান রাইটস অনেক বেশি। যে দেশে প্রতিদিন পুলিশ কালো লোকদের গুলি করে মারছে। এগুলো কি আমরা চোখে দেখি না ? তাই আমাদের এখন উচিৎ তাদের ইগনোর করা এবং তাদের যে রাষ্ট্রদূত এগুলো কথা বলছে তাকে বের করে দেয়া।
বিচারপতি মানিক আরও বলেন, আমার কথা খুব সোজাসাপটা। তাকে বের করে দেয়া। যেহেতু তিনি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছেন, ডিপ্লোম্যাটিক আইন লঙ্ঘন করছেন তাই তাকে বলা উচিৎ, ইউ কিপ কোয়াইট (চুপ করে থাক) অথবা ইউ লিভ ইন কান্ট্রি ( দেশ থেকে চলে যাও)।
সাবেক বিচারপতি আরও বলেন, আমরা কারও কলোনি না। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের ইউনাইটেড নেশনের যে ইস্ট্যচ্যুজ আছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে প্রতিটি দেশই সমান। ছোট হোক, বড় হোক, ধনী হোক কিংবা গরিব হোক প্রতিটা দেশই সমান। সবচেয়ে বড় কথা, ইউনাইটেড নেশনের সনদ যেটা আছে সেটা প্রত্যেকটা দেশকে মানতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান। এর পরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নাম আছে বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়। এর পরপরই তিনি পিটার হাস সম্পর্কে এ মন্তব্য করলেন।