• সারাদেশ

    আমরা একটি কঠিণ সময়ের মধ্যে আছি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

      প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৩ , ৪:৪৫:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    মো. রাকিব হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমরা একটি কঠিণ সময়ের মধ্যে আছি। আমাদের সামনে অত্যন্ত জটিল সংকটময় একটি সময় এসেছে। আমরা আজকে যাদের সামনে লড়াই করছি সংগ্রাম করছি, তারা কিন্তু সাধারণ মানুষ নয়। তিনি তাদেরকে দানব উল্লেখ করে বলেন, তারা মনস্টার। আওয়ামীলীগ জনগণের দল নয়, প্রকৃত পক্ষে তারা নির্বাচন চায় না। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাদের সাথে ফয়সালা হবে রাজপথেই।

    গতকাল রোববার (১১ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
    গাজীপুররের টেকনগপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মনজুরুল করিম রনি। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন। বিশেষ বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠণিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ শওকত হোসেন সরকার।
    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গাজীপুর মহানগর বিএনপির সম্মেলনে যোগ দেন।

    সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ ওমর ফারুক স্বাধীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা: মাজহারুল আলম ও মোঃ মুজিবুর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান , গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

    বিএনপি মহাসচিব আরও বলেছেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলতে শুরু করেছেন বিএনপি কেয়ার টেকার ইস্যু হলো ডেথ ইস্যু। এর প্রতিউত্তরে ফখরুল ইসলাম বলেন, ”যেহেতু তোমরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছ। নিরপেক্ষ কেয়ার টেকার সরকারের অধীণে নির্বাচন হলে তোমাদের জিতবার কোনই সম্ভাবনা নাই, ১০টি আসন পাবে কি-না তার নিশ্চয়তা নাই।” কেয়ার টেকার ইস্যু হলো এলাইভ ইস্যু, জীবন্ত একটা ইস্যু। সারা দেশের মানুষ এখন একটা জিনিসই চায়, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। নির্বাচন আমরা করবো তা হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ নেতৃত্বাধীণ সরকারের অধীণে। এ ব্যাপারে কোন আপোষ নাই। আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ’১৪ তে নির্বাচন করেছে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করে। ’১৮ নির্বাচন করেছে আগের রাতেই ভোট সব মেরে-টেরে নিয়ে গিয়ে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। এবার তা চলবে না। এবার আর সেই কাজ করতে দেয়া হবে না। এবার জনগণ আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জেগে উঠেছে। সংগঠিত হচ্ছে। তারেক রহমান ১০দফা দাবি দিয়েছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফা কর্মসূচী দিয়েছেন। বিএনপি সবসময় জনগণের জন্য দল করে। খালেদা জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচী দিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচীগুলোকে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ কে নিয়ে এবার তারেক রহমান ২৭ দফা কর্মসূচী দিয়েছেন। তারপর তিনি রাষ্ট্রের যে ক্ষতিগুলো আওয়ামীলীগ করেছে তা পূরণ করার জন্য নতুন করে কিছু কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজাতে হবে। সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। প্রশাসনে পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য একটা কাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

    গাজীপুর মহানগরে বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ মো. শওকত হোসেন সরকারকে সভাপতি এবং এম মঞ্জুরুল করিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে গাজীপুর মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content