• অনিয়ম / দুর্নীতি

    সুনামগঞ্জে অটোগাড়ি দিবে বলে কৃষকের একলাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারকচক্র

      প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২৩ , ৪:৫১:৪৫ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের মেসার্স এস.এম ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালিক ও ম্যানেজার বাপ্প দাস কর্তৃক নতুন একটি ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ি দিবে বলে বিশ্বম্ভরপুরের এক কৃষকের নিকট হতে নগদ একলাখ টাকা আত্মসাধ করে প্রতারকচক্রের সদস্যরা উদাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের। প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নাম রুপক পাল। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের মজুমদারী গ্রামের ধীরেন্দ্র পালের ছেলে ।

    সিলেট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিম সাগর আম এর অগ্রিম অর্ডার চলছে।

    প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রুপক পাল তিনি নিজে বাদি হয়ে গত ২০ মে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্ট(মন্দিরের পাশে) এস.এম ট্রেডার্সের ম্যানেজার প্রতারক বাপ্প দাস,পিতা অজ্ঞাত ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আরেক প্রতারক সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার দুর্যাকপন গ্রামের মো. আব্দুল মতলিবের ছেলে আব্দুল মালিককে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতারিত কৃষক রুপক পাল তার মামলার স্বাক্ষী বিশ^ম্ভরপুরের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আব্দুছ ছাত্তারের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরস্থ এস.এম ট্রেডার্সের ম্যানেজার বাপ্পু দাস ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালিকের ট্রেডার্সে এসে তাদের সাথে কথা বলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহজ কিস্তিতে এককালীন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিলে অটোগাড়ি কিনে দিবেন বলায় (রুপক পাল)তিনি গত ১৫ই মার্চ গ্রামীন ব্যাংক থেকে তার মায়ের নামে একলাখ টাকা লোন উত্তোলন করেন। তিনি ঐদিন বিকেলে সাথে সাথে শহরের ষোলঘরস্থ এস.এম ট্রেডার্সের ম্যানেজার বাপ্পু দাসের নিকট এসে এই একলাখ টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বাপ্পু দাসকে বলেন নগদকৃত একলাখ টাকা স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালিকের বিকাশ নম্বরে পাঠানো জন্য। বাপ্পু সাথে সাথে গ্রহনকৃত একলাখ টাকা আব্দুল মালিকের বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেন এবং কৃষক রুপক পাল বাকি ৭০ হাজার টাকা চলতি বছরের ২১শে মার্চ নিয়ে আসলে অটোগাড়ি দিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে রুপক পালকে বিদায় করে দেন। পরবর্তীতে গত ২১ শে মার্চ যথারীতি রুপক পাল বাকি ৭০ হাজার টাকা নিয়ে এস.এম ট্রেডার্সের ম্যানেজার বাপ্পু দাসের সামনে উপস্থিত হলে বাপ্পু বাকি ৭০ হাজার টাকা তাদের হাতে দিতে বলেন। তখন হতদরিদ্র কৃষক রুপক পাল বলেন ডাউন পেমেন্ট একলাখ টাকা দিয়েছি এখন অটোগাড়ি আমাকে (কৃষক রুপক পাল)কে সমজিয়ে দিলে তিনি ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানালে প্রতারক বাপ্প ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তার (রুপক পালের) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং শেষ পর্যন্ত বলেন ঠিক আছে আপনি বাড়ি চলে যান গাড়ি আমাদের হাতে আসলে আপনাকে জানানো হবে তখন আপনি এসে বাকি ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিদায় করে দেন। এভাবে প্রায় দুইমাস অতিবাহিত হলেও প্রতারক বাপ্পু দাস ও আব্দুল মালিক তাদের প্রতিষ্ঠানে থালা ঝুলিয়ে সুনামগঞ্জ ছেড়ে একলাখ টাকা নিয়ে উদাও হয়ে গেছেন এখন তাদের ব্যবহিৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায় বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। এদিকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত একলাখ টাকার সুদ দিতে দিতে কৃষক রুপক পাল তিনি নিজে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান। এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুরের প্রতারনার স্বীকার কৃষক রুপক পাল জানান,আমি একজন সহজ সরল মানুষ হিসেবে দুই প্রতারক দ্বারা প্রতারিত হয়ে সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও ন্যায় বিচার পাইনি। তিনি এই দুই প্রতারককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার একলাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি দুই প্রতারক বাপ্প দাস ও আব্দুল মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে দুই প্রতারক বাপ্প দাস ও আব্দুল মালিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের মতামত জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এবং দোষ প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content