• সুনামগঞ্জ

    দিরাই পৌরসভার ডিএসএস একাডেমীতে দুর্ধর্ষ চুরি

      প্রতিনিধি ২ মে ২০২৩ , ১২:১৯:৪৫ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ মোস্তাহার মিয়া মোস্তাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ভাটিবাংলা মিডিয়া লিমিটেড (রেজি নং- সি ১৮৮৪০৮) এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহ জাহান সিরাজ এর মালিকানাধীন দিরাই পৌরসভার সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিএসএস একাডেমীতে ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। অজ্ঞাত চোরেরা ডিএসএস একাডেমীর ল্যাপটপ, ফ্যান সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং অন্যান্য মূল্যাবান সামগ্রী ভাংচুর করে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মানবাধিকারকর্মী মোঃ শাহ জাহান সিরাজ। তিনি দৈনিক ভাটি বাংলাকে বলেন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ বার আমার প্রতিষ্ঠান চুরি হয়েছে কিন্তু কোনটির আজ পর্যন্ত চুরের হদিস মেলেনি এমকি কখনো চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার হয়নি!

    দৈনিক ভাটি বাংলাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষানুরাগী বলেন- দিরাই উপজেলার একটি সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিএসএস একাডেমীর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুনামের সাথে অত্র অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ নির্বিকার।
    গত বছর বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল জাহির এর দিরাই থানার অদূরে হাসপাতাল রোডের বাসায় সন্ধ্যা বেলায় দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হলে ব্যাপক আলোড়ন তুলে ঘটনাটি। হাতেনাতে চুরি এলাকাবাসীর কাছে আটক হলেও বাহির এলাকা থেকে এসে চুরি করার স্বীকারোক্তি দিলেও স্থানীয় এলাকার কারা জড়িত তা দিরাই থানা পুলিশ বেড় করতে পারেনি।
    এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে একাধিক ব্যক্তি জানান – দিরাই পৌরসদরে চুরির অন্যতম কারণ মাদকের অবাধ সরবরাহ, জুয়াখেলার আসর ও বেশ্যাবৃত্তি, বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ড এলাকার আশেপাশে তা প্রকট।
    দিরাই পৌরসভায় অহরহ চুরির ঘটনা ঘটলেও তার প্রতিকারে থানা ও জনপ্রতিনিধিদের যেনো কোন গড়জ নেই, এমনকি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে গত কয়েক মাস আগে গোপন সূত্রে জুয়া খেলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কয়েকজন কাউন্সিলর সেখানে উপস্থিত ও জড়িত থাকায় তাদের গ্রেফতার না করেই চলে আসে থানা পুলিশ।
    বিশিষ্টজনের অভিমত- মাদকের প্রবাহ ও জুয়াখেলার আড্ডা বন্ধ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে রাজনৈতিক ও প্রাশাসনিক উদ্যোগ নিতে হবে । জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নতুবা আবারো মুনি হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।

    আরও খবর

    Sponsered content