প্রতিনিধি ২১ মে ২০২৩ , ৩:৩০:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সংগ্রাম সীমান্ত এলাকার গুচ্ছগ্রাম লাল মাটি এলাকায় হাশেম আহমেদ, বিজিবি-র নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, ঐ এলাকা দিয়ে ভারতীয় পণ্য নিরাপদে বাংলাদেশে আসছে, ভারত থেকে চিনি জিরা নাছির উদ্দিন বিড়ি টেন্ডুল পাতা মদ ইয়াবা ফেন্সিডিল কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল এর পার্টস নিয়ে আসছে ।তাদের কাছ থেকে বিজেপির নামে চাঁদা আদায় করেন হাসেম আহমেদ, ঐ এলাকা দিয়ে । হাশেম আহমদ কে চাঁদা দিতে দেরি করলে বিজিবি সদস্যদের ফোন দিয়ে এনে মাল ধরিয়ে দেন হাসেম আহমেদ , এক ভয়ংকর লোক, হাসেম আহমেদ কে ব্যবসায়ীরা ভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হন।
ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় মালামাল আনা নেওয়া করতে সহজ , ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ভারত আসা যাওয়া করতে সম্ভব গুচ্ছগ্রাম লাল মাটি পর্যটক এরিয়া, পর্যটক পাবলিক টয়লেটের এলাকা দিয়ে দেদারসে আসছে কসমেটিকস থ্রি পিস শাড়ি লুঙ্গি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন মালামাল সীমান্ত ঘেসে গাড়ি রেখে মাল লোড করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সবচেয়ে নিরাপদ রোড জাফলং বাজার রাধানগর বাজার ও গোয়াইনঘাট উপজেলা হয়ে সিলেট শহরে যাচ্ছে।এসব পণ্য । আর বাংলাদেশ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ।
সত্যতা জানতে হাশেম আহমেদ এর মোটো ফোনে ফোন দিলে স্বীকার করে বলেন সীমান্তে বিজিবি -র লাইনম্যান এর দায়িত্ব পালন করতেছি হাসেম আহমদ আরও বলেন আমি বিজিবির কথার বাহিরে কিছু করিনা
তবে আপনারা সাংবাদিক নিউজ করতে পারেন করেন সমস্যা নেই।
এবিষয়ে সংগ্ৰাম বিজিবির নায়েব সুবেদার এর মোঠুফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হাসেম এর বিষয়টি অবগত আছি আপনি ক্যাম্পে আসুন আলোচনা করি এ কথা বলে মুঠোফোনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিজিবি সিলেট সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর মো: সাইফ জানান, ভারতীয় ব্র্যান্ডের মালামাল ও চিন জিরা পণ্য সামগ্রী পাচারের বিষয়ে ৪৮ বিজিবি’র সিও’র সাথে কথা বলেন। তবে ৪৮ বিজিবি’র সিও মহোদয়ের নাম্বারে কল দিলে বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।